আনোয়ার হোসেন,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)প্রতিনিধি >>> নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে জমকালো ও বর্ণিল উৎসবে আন্তর্জাতিক মহান মে (শ্রমিক) দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১ মে) সকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সড়ক পরিবহন শ্রমিক দল উপজেলা শাখা দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করেন। সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা ট্রাক ও ট্যাংকলড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে শিশু নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও ব্ল্যাক ডায়মন্ড খ্যাত কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন। আরো বক্তব্য দেন সাবেক সংসদ সদস্য ও সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহিন আকতার, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সদস্য মাসুদ রানা পাটোয়ারী প্রমুখ। এসময় বেবী বলেন এখনো প্রতিদিন আপনারা দলের প্রতি পূর্ণ আস্থা, বিশ্বাস,আদর্শ, নীতি-নৈতিকতার ওপর দাঁড়িয়ে আছেন। একত্রিত হয়ে আছেন। ম্যাডাম বিদেশ যাবার আগে বলেছেন দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও। কারণ দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও এজন্য কি করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার বিএনপি দলকে ভাঙ্গার জন্য বারবার অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সফল হয়নি। তিনি আরো বলেন গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া কোন জবাবদিহিতা থাকেনা। কোন উত্তর থাকেনা। তাই তারেক জিয়া চাচ্ছে, আমরা চাচ্ছি বিএনপি ও জনগণকে নিয়ে সংস্কার করে নির্ধারিত সময়ের মধ্য নির্বাচন দেওয়া হউক। দেখা গেছে ১ মে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মী ও শ্রমিকরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে আসেন। এসময় সভাস্থল মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। কানায় কানায় ভরে উঠে এর আশপাশ। জনসমুদ্রে পরিণত হওয়া উৎসুক শ্রমিকেরা বেবী নাজনীনের মধুর কন্ঠে গান শোনার জন্য উন্মুখ হয়ে পড়েন। এসময় তাদের অনুরোধে তিনি ২ টি গান গেয়ে শ্রমিকদের মুগ্ধ করে তুলেন। তার কন্ঠে গানের কলি স্বল্প পরিসরে তুলি ধরা হলো- ছোটদের বড়দের সকলের গরিবের নিঃস্বের ফকিরের,আমার এ দেশ সব মানুষের, সব মানুষের।।নেই ভেদাভেদ হেথা চাষা আর চামারে,নেই ভেদাভেদ হেথা কুলি আর কামারে। হিন্দু, মুসলিম,বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, দেশ মাতা এক সকলের।লাঙলের সাথে আজ চাকা ঘুরে এক তালে এক হয়ে মিশে গেছি আমারা সে যে কোন প্রাণে….। ও মুই না শুনুং না শুনুং তোর বৈদেশিয়া কথা রে ও মোক ছাড়িয়া গেলু কেনে।আমি তোরও বাদে বসিয়া কাদুং পন্থের পানে চাইয়ারে।ও মোক ছাড়িয়া গেলু কেনে…। পরে বেবী নাজনীনের নেতৃত্বে বিশাল বহরের একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি পুরো উপজেলা শহর চক্কর দিয়ে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
মন্তব্য