নিজস্ব প্রতিবেদক >>> সাতকানিয়ায় ইটভাটা শ্রমিক হিসেবে কাজ করা এক রোহিঙ্গা যুবক আপন ভাগিনাকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে অপহরণ করেছে। পরে মুক্তিপণ না পেয়ে তাকে হত্যা করেছে। গত ৩ এপ্রিল মামা কামাল হোসেন বেড়ানোর কথা বলে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প থেকে তার ভাগিনা মো. একরাম (১৩) কে অপহরণ করে। পুলিশ গতকাল বুধবার সকাল ৯টার দিকে ঘাতক মামার দেয়া তথ্য মতে সাতকানিয়ার পাঠানিপুল এলাকা থেকে ১৩ দিন পর ভাগিনা একরামের গলিত লাশ উদ্ধার করে। এর আগে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘাতক মামা মো. কামাল হোসেন (৩৫)কে আটক করে। কামাল পুলিশের কাছে মুক্তিপণ না পেয়ে ভাগিনাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা যুবক মো. কামাল সাতকানিয়ার একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে। নিহত একরামের পরিবার কঙবাজারের উখিয়া উপজেলার বালুখালীর ১০ নম্বর রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের জি–৩৭ নম্বর ব্লকে থাকে। তার বাবার নাম মো. ইদ্রিস। গ্রেপ্তার কামাল একই উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বি–১০ ব্লকের আবুল কাশেমের ছেলে। সে সাতকানিয়ার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের বিসমিল্লাহ ব্রিকসে (বিবিসি) শ্রমিক হিসেবে কর্মরত।নিহত একরামের বড় চাচা মো. ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন, ৩ এপ্রিল একরামকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে ক্যাম্প থেকে নিয়ে যায় তাঁর ভাই ইদ্রিসের শ্যালক মো. কামাল। পরে সে ইদ্রিসের কাছে মোবাইল ফোনে একরামকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানায় এবং তাকে পেতে হলে মুক্তিপণ হিসেবে টাকা দাবি করে। এতে রাজি হননি ইদ্রিস। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও একরামের সন্ধান না পেয়ে ইদ্রিস বাদী হয়ে গত ১৪ এপ্রিল রাতে উখিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ কামালকে রাতেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। একপর্যায়ে কামাল পুলিশকে জানায়, মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় একরামকে খুন করেছে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সাতকানিয়া থেকে লাশ উদ্ধার করে।সাতকানিয়া থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, উখিয়া থানা পুলিশের একটি দল আসামিকে নিয়ে সাতকানিয়া উপজেলার পাঠানিপুল এলাকায় আসে। সাতকানিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় সেখানে কৃষিজমি থেকে ওই কিশোরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।উখিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ আরিফ হোসেন জানান, নিহত একরামের মামা কামালের দেয়া তথ্য মতে পুলিশ সকালে সাতকানিয়া থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কিনা তা জানতে তদন্ত চলছে এবং ঘটনার ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
মন্তব্য