২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
রাজশাহীতে বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনে রূপান্তর আমাদের প্রাণের দাবি — শাহজাহান চৌধুরী  তদন্ত শেষে আগুনের প্রকৃত কারণ জানা যাবে: বেবিচক চেয়ারম্যান পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু নিরাপদ সড়ক দিবসে সুনামগঞ্জের ডিসি ডোপ টেস্ট ছাড়া মিলবে না লাইসেন্স- ড মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বাগাতিপাড়ায় মাদকবিরোধী অভিযান, তিনজনের জেল-জরিমানা নাটোরে বিশেষ অভিযানে সর্বহারা নেতাসহ আওয়ামী লীগের ৫ নেতা–কর্মী গ্রেফতার পাটগ্রামে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে মাস মিডিয়া ক্যাম্পেইন রাজশাহীর পদ্মায় কুমির, নদীতে গোসল না করতে মাইকিং কিশোরগঞ্জে নাগরিক সেবার মান উন্নয়নে গণ-শুনানী অনুষ্ঠিত
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য >> চট্টগ্রাম
  • ঐতিহাসিক বিয়ের সাক্ষী হল চট্টগ্রাম!
  • ঐতিহাসিক বিয়ের সাক্ষী হল চট্টগ্রাম!

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    নিউজ ডেক্স >>> বিয়ে আপনার খরচ আমাদের।এমন ঐতিহাসিক আয়োজনের সাক্ষী হলো চট্টগ্রাম।শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় এমন বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে।এতে যাদের বিয়ে হয়েছে তাদের কোনো টাকা খরচ করতে হয়নি। সম্পূর্ণ খরচ বহণ করেছে অ্যাশ ফাউন্ডেশন।এই বিয়ে করতে তাদের মানতে হয়েছে কিছু শর্ত।সেগুলো হল- কোনো ধরনের যৌতুক নেয়া যাবে না।একই সাথে অতিরিক্ত মোহরানা নেয়া যাবে না।পাশাপাশি ধার্যকৃত মোহরানা নগদে পরিশোধও করতে হবে।এমন প্রতিশ্রুতিতেই বিয়েটি সম্পন্ন হয়েছে।বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন ১৬ জন বর-কনে।বিয়ে পড়ালেন আন্তর্জাতিক ইসলামিক স্কলার শায়খ আব্দুল হাই মো. সাইফুল্লাহ।আয়োজনের মধ্যে ছিল- বর ও কনে পক্ষের ১০০ জনের খাবার, বর-কনের সাজসজ্জ্বার খরচ, পাশাপাশি ছিল কক্সবাজারে হানিমুনের প্যাকেজ, ঘরের সামগ্রী, বিভিন্ন আইটেমের আট পদের খাবার।যার সম্পূর্ণ খরচ বহণ করা হয়েছে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে।আরও রয়েছে বিয়ের পরে বর-কনের কাউন্সিলিং সেবা।ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় এ ধরনের আয়োজনে অংশ নিতে পেরে বর-করে উভয়ই খুবই উচ্ছ্বসিত বলে জানিয়েছেন।কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন- সমাজের যৌতুক প্রথা,দেনমোহরের নামে অতিরিক্ত অর্থ,আপ্যায়ন এই বিষয়গুলো থেকে বেরিয়ে এসে সহজ বিয়ের প্রচলন হওয়া।এতে তারা অত্যন্ত খুশি।নগরীর একটি কনভেশন সেন্টারে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।বিয়ে করতে আসা একজন বর জানান,শুকর আলহামদুলিল্লাহ।পার্কে বা যত্রতত্র প্রেম না করে বিয়ে করে ফেলেন। শিক্ষার্থী অবস্থায় ও বিয়ে করা যায়। আমি নিজেও একজন ছাত্র। এই ধরনের আয়োজন চট্টগ্রাম বিভাগের বাইরে গিয়ে সারাদেশে আয়োজন করা গেলে ভালো হয়।অপর এক বর জানান, বিয়েকে সহজ করার জন্য আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন যে আয়োজনটি করেছে তার জন্য তাদেরকে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি। এই আয়োজনটি যৌতুকবিহীন এবং সম্পূর্ণ মোহরানা আদায়ের মাধ্যমে হয়েছে। এই আয়োজনের প্রচারণা সাড়া দেশে ছড়িয়ে পড়ুক এই প্রত্যাশা করি। সমাজে বিবাহ সহজ হয়ে উঠুক।আয়োজনের বিষয়ে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে আমি আমার বিয়ের সময় দেখেছি আমার আত্মীয়-স্বজন অনেকেই বলেছে যৌতুক, নয় তারা উপহার দিবে, সেই উপহার নিলে ক্ষতি কী? আমি এর সরাসরি ভুক্তভোগী।যৌতুক প্রথা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পৌঁছে গেছে।এটি নিছক কোন বিয়ে নয়,এটি একটি আন্দোলন। আমরা যৌতুক প্রথা চিরতরে নিশ্চিহ্ন করতে চাই। একজন বাবা তার মেয়েকে জন্ম দেয়ার পর থেকে লালন পালন করে বিয়ে দেয়ার কথা।কিন্তু সেই সময় তার বাবার মুখে হাসি নেই।তার বাবা আমার আপনার কাছে বিয়ের জন্য টাকা খুঁজতে আসতেছে।দেশের কোন বাবা যৌতুকের দায়ে ঋণগ্রস্ত থাকবে না।আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে আবারও রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন,সামনের বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে রংপুর বিভাগে। ঐতিহাসিক আয়োজন হিসেবে সেখানে থাকবে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবান।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page