১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
নিখোঁজের ৩ দিন পর পানিতে মিলল বৃদ্ধের লাশ। ভোলায় ওসি ও এসআইর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ : প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন। নাটোরে পূর্ব শত্রুতার জেরে কৃষকের সোয়া দুই বিঘা জমির ধান ঘাস মারা বিষে পুড়িয়ে নষ্ট উলিপুরে দেবে যাওয়া ব্রিজে ঝুকি নিয়ে চলাচল,দুর্ভোগ চরমে আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে আত্মঘাতী হামলায় ৭ পাকিস্তানি সেনা নিহত রাজশাহীতে ধানখেত থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার, ধর্ষণের পর হত্যার সন্দেহ চোরের দশ দিন গৃহস্থের এক দিন   কিশোরগঞ্জে  এমন কৃতকর্মে ২ বালু পাচারকারীর কারাদণ্ড  শাহজালালে অগ্নিকাণ্ড: ১৭ আনসার সদস্য আহত মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাুষিত কোলাগ্রামের রাস্তার বেহাল দশা অতিদ্রুত রাস্তাটি পাকা করনের দাবী এলাকাবাসীর। লোহাগাড়ায় বাসের ধাক্কায় দুই আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু
  • প্রচ্ছদ
  • এক্সক্লুসিভ >> দেশজুড়ে >> শীর্ষ সংবাদ >> সিলেট >> সুনামগঞ্জ >> সোস্যাল মিডিয়া
  • সুনামগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ৫৪৮পিস ভারতীয় শাড়ী,৭৫ পিস লেহেঙ্গাসহ ২ চোরাকারবারী গ্রেফতার
  • সুনামগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে অবৈধ ৫৪৮পিস ভারতীয় শাড়ী,৭৫ পিস লেহেঙ্গাসহ ২ চোরাকারবারী গ্রেফতার

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি 

    র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব-৯ সিপিসি-৩ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রাম থেকে অবৈধভাবে আমদানিকৃত ৫৪৮ পিস ভারতীয় শাড়ী,৭৫ পিস লেহেঙ্গা ও ২৫৫০ কেজি চা-পাতা সহ দুই চোরাকারবারীকে আটক করেছে।আটককৃতরা হলেন তাজুয়ার আফজাল শিহাব । তিনি হলেন ইব্রাহিমপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে ও নূর হোসেন হলেন একই গ্রামের মৃত আব্বাছ আলীর ছেলে । আটককৃত তাজুয়ার আফজাল শিহাব হলেন সুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার আপন ভাতিজা বলে জানান র‌্যাব ও এলাকাবাসী।বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ভোর রাতে সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার বাগানবাড়ীতে অভিযান চালিয়ে মালামালসহ তাদের আটক করা হয়। অবৈধভাবে আমদানিকৃত মালামালের আনুমানিক বাজার মুল্য ৬ লক্ষ টাকা বলে জানায় র‌্যাব।আসামীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেও প্রতিকার পাননি সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ এমরান হোসেন। ইব্রাহিমপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র মোঃ এমরান হোসেনের দায়েরকৃত অভিযোগে একই গ্রামের মরহুম মোশাররফ হোসেন ময়না মিয়ার পুত্র সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজা,চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মোঃ আফজাল হোসেন ও আফজাল হোসেন ছানার পুত্র তাজুয়ার আফজল (শিহাব) কে বিবাদী করা হয়েছিলো।“ঘুষের বিনিময়ে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার আপন সহোদর মোঃ আফজাল হোসেন কে সদস্য সচিব করত: ২৬নং অপ্রয়োজনীয় নতুন পিআইসি অনুমোদন এবং অভিযোগকারী এমরান হোসেনকে বাদ দিয়ে চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার ভাই আফজাল হোসেন এর পুত্র তাজুয়ার আফজল (শিহাব) কে সদস্য সচিব করত: সুরমা ইউনিয়নের ০১ নং পিআইসি প্রকল্প গঠনপূর্বক পাউবোর বরাদ্দ হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন” বিষয়ে লিখিত অভিযোগটি দায়ের করা হয়।গত বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দায়েরকৃত অভিযোগে প্রকাশ, চেয়ারম্যানের নির্দেশে তার ভাতিজা মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে ২৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ অনুমোদন করিয়ে ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুল হাইকে সভাপতি ও চেয়ারম্যানের ভাই এবং তাজুয়ার আফজল (শিহাব) এর পিতা আফজাল হোসেন কে সদস্যসচিব করে সুরমা ইউনিয়নের ২৬নং নতুন পিআইসি অনুমোদন করত: সরকারী বরাদ্দ পকেটস্থ ও লুটতরাজ করে।অনুরুুপভাবে ২০২১-২০২২ইং অর্থ বছরে গতবারের চাইতে দ্বিগুন বরাদ্দ দিয়ে,সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ৪১ নং পিআইসি গঠন করা হয়। এই পিআইসিতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার প্রতিভূ শফিক মিয়াকে সভাপতি করা হয়েছে। হিললুয়ার হাওরের মধ্যে মাত্র ১২ ইঞ্চি উচু করে একটি বাঁধ মেরামতের কাজ করে সেখানে বরাদ্দ নির্ধারন করা হয় ১০ লাখ টাকা। কথিত পিআইসি এলাকার ডান পাশে মইনপুর টু ডলুরা এবং বামপাশে ইব্রাহিমপুর টু ডলুরা পাকা রাস্তা রয়েছে। দুইদিকে পাকা রাস্তা থাকায় ঔ হাওরে কোনভাবেই বৃষ্টির পানি প্রবেশের সুযোগ নেই। কিন্তু পাউবোর কর্মকর্তা কর্মচারীরা অন্যায় অজুহাতে লূটপাটের উদ্দেশ্যে কথিত এলাকায় ৪১ নং পিআইসি গঠন করে সরকারের বরাদ্দ লুটতরাজ করে। এলাকাবাসী এই পিআইসিকে ভৌতিক অপ্রয়োজনীয় ও চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার ব্যক্তিগত পিআইসি বলে অভিহিত করেছেন। এছাড়াও ভাতিজা শিহাবকে দিয়ে নদীর পাড়ে সরকারী খাস খতিয়ানের জায়গায় মোটর সাইকেল এর গ্যারেজ বানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় ও গরীব মানুষের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত ভিজিডি ও ভিজিএফ এর চাল কালোবাজারে বিক্রয়সহ নানাবিধ অভিযোগে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের ভাতিজা শিহাব। ইব্রাহিমপুর গ্রামবাসী চোরাকারবারের মূলহোতা চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজাকে অবিলম্বে ঐ মামলায় গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন।এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজার মুঠোফোনে কল করলে র‌্যাবের হাতে আটককৃত শিহাব তার আপন ভাতিজা স্বীকার করে বলেন,আমার ভাতিজা বর্ডারহাটে ব্যবসা করে। তার হেফাজতে ভারতীয় মালামাল পেয়েছে বলে তাকে র‌্যাব আটক করেছে।এ ব্যাপারে ইব্রাহিমপুর গ্রামের নিরীহ নাগরিক গরীব মৎস্যজীবী আব্দুল হান্নান বলেন,আমরা ১০টি পরিবার ১৯৮৯ সালে সরকারের কাছ থেকে বাড়ী জমি বন্দোবস্ত পেয়েছিলাম। চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজা ও তার ভাতিজা আমাদের জমির দলিল চুরি ও জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। আমরা আমাদের জায়গার দলিলগুলো উদ্ধারের জন্য র‌্যাবের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন,র‌্যাব ৯ সিলেটের অধীনস্থ সুনামগঞ্জ সিপিসি ৩ এর টহলদল ভারতীয় মালামাল জব্দসহ ২ জনকে পুলিশে সোপর্দ করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আমার গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত তাদেও াজমিন না মুজ্ঞুর করে কারাাগরে পাঠানোর নির্দেশ প্রদাণ করেন।এ ব্যাপারে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব-৯ এর অধিনায়ক এডিশনাল এসপি মতিয়ার রহমান বলেন,ভারতীয় মালামালসহ গ্রেফতারকৃত শিহাব ও নূর হোসেন নামের ২ যুবককে আমরা ইতিমধ্যে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছি। র‌্যাব জানায়, চেয়ারম্যানের ভাতিজা শিহাব সীমান্ত এলাকার সকল চোরাকারবারীদের গডফাদার হিসেবে কাজ করতো। সে সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়,চেয়ারম্যানের বাংলোঘর ও তাদের বাগানবাড়ীতে প্রচুর পরিমাণ ভারতীয় মালামাল মজুত করতো। ইতিপূর্বে ক্যাম্প কমান্ডার লেঃ কর্ণেল সিঞ্চন আহমেদ ২ বার তাকে আটক করার চেষ্টা করেন। প্রতিবারই তার পক্ষে কোননা কোন গডফাদার তদবীর করতো। এবার র‌্যাব কোন তদবীরে সাড়া না দিয়ে সোজা মালামালসহ গ্রেফতার করে তাকে জেলহাজতে পাটিয়েছে।

     

     

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page