চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলায় প্রতিবেশী দুই পক্ষের মধ্যে চলমান বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় এক কলেজ ছাত্র ছুরাকাহত হয়েছে তার প্রতিবাদে সাতকানিয়া সরকারি কলেজের ছাত্ররা সাতকানিয়া ডাকবাংলার সামনে মানববন্ধন করেছেন?মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৫ দিন হয়ে গেলেও সাতকানিয়া থানা পুলিশ এখনো আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি, এদিকে আহত শিহাব চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে,আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করার জোর দাবি জানান,এবং উক্ত ঘটনায় উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের আলমগীর পাড়ার রফিকুল ইসলামের পূত্র মুহাম্মদ মুসা বাদী হয়ে
১. আবুল বশর (৪৫), পিতা- মৃত ইয়াকুব আলী ২. মুহাম্মদ বাকিৰ (২১), পিতা- আবুল বশর ৩. রাবিয়া বেগম (৩৫), স্বামী আবুল বশর ৪. মুহাম্মদ শোয়াইব (১৯), পিতা- আবুল ৫. মুহাম্মদ সাকিব (২২), পিতা- শামসুল ইসলাম ৬. কমরুন্নাহার (৪০), স্বামী- শামসুল ইসলাম, সর্বসাং- উত্তর ঢেমশা, আলমগীর পাড়া, ৪নং ওয়ার্ড, থানা- সাতকানিয়া, জেলা- চট্টগ্রাম সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে সাতকানিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।
১৫ জুন’২৩ ইং —বার সাতকানিয়া থানায় দায়েরকৃত এজাহারে বাদী মুহাম্মদ মুসা গত ১৩ জুন রাত ১০ টার সময় বিবাদীগন পুর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনা সংঘঠিত করার উদ্দেশ্যে পলিথিনে করে বাথরুমের ময়লা এনে বাদী মুসার ঘরের সামনে ছুঁড়ে মারলে বাদী মুসা ও তার পরিবারের সদস্যরা তা স্বচক্ষে দেখে ফেলায় ময়লা ছুঁড়ে মারার কারন জানতে চাইলে বিবাদীগন সংঘবদ্ধভাবে বিবাদে জড়িয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং এক পর্যায়ে বাদীর ছোটভাই ২০২৩ সালের এইচ.এস.সি পরিক্ষার্থী শিহাবকে ধারালো ছুরি ও লাটি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় সজোরে বারি মারিলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, এসময় বিবাদী আবুল বশর নিজেই শিহাবকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে শিহাবের পেটে চুরিকাঘাত করিয়া পেটের নাড়িবুড়ি বের করে গুরুত্বর রক্তাক্ত কাটা জখম করিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে শিহাবকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাতকানিয়া আশ-শেফা হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। শিহাব বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৪ নং ওয়ার্ডের এমপি-৪ নং বেড়ে মুমুর্খ অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসির আরাফাতের কাছে অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার না করার কারণ জানতে ফোন করা হয়। তিনি জানান ,আসামিরা বারবার তাদের স্থান পরিবর্ত করাতে গ্রেফতারে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। শীঘ্রই একে একে সব আসামিকে গ্রেফতার করা হবে
মন্তব্য