মোঃ সুমন মিয়া লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি>>> লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের নিথক ওয়ার্ডের সুলতান দর্জির বড় ছেলে মোঃ রাদিব হাসান (১৬) বিদ্যুৎপৃষ্টে মারা যায়।৮ নভেম্বর,শুক্রবার দুপুর ১১.৩৫ সময়ে বাড়ির পাশে জলপাই গাছে জলপাই পারতে উঠে।ঐ গাছের ডালের সামান্য কাছেই ছিল বিদ্যুৎ লাইন।গাছের ডালে উঠতেই ডালটি বিদ্যুৎ এর তারের সাথে লেগে,রাদিব চিৎকার করে মা আমাকে বাঁচাও,চাচী আমাকে বাঁচাও।সকলের চিল্লা – চিল্লিতে আশেপাশের লোকজন বাঁশ দিয়ে আঘাত করে ছেলেটিকে গাছ থেকে মাটিতে নামায়।রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসা ধীন অবস্থায় দুপুর ১২.২০ মিনিটে মারা যায়।ছেলেটির চাচী বলেন,রাদিব নিজের চোখে মৃত্যু দেখেছে। আল-আমিন নামে একজন প্রতিবেশি বলেন,আমরা রাদিবকে হাত-পা ছেড়ে দিতে বলি, কিন্তু রাদিব উত্তর দেয়,আমিতো ছেড়ে দিছি, আমাকে ছাড়তেছে না।যখন রাদিব বুঝতে পারে আর বাচঁবে না,তখন দোওয়া বলা শুরু করেন– লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সঃ)।রাদিবের বাবা সুলতান বলেন,সন্তানের ঘাড়ে বাবার লাশ উঠবে,আমি কি ভাবে আমার ছেলের লাশ ঘাড়ে নিবো!!!আল্লাহর কি এটাই — বলতে বলতে আর বলতে পারলেন না।রাদিবের বন্ধু নাহিদ ইসলাম বলেন, আমার বন্ধু আমাদের রেখে এভাবে চলে যাবে এটা মানতে পারতেছি না- বলেই কেঁদে ওঠে।আর এক বন্ধু সজল রায় পাপন বলেন, রাদিব মারা গেছে,এটা আমি মানতে পারবো না, বলেই অজ্ঞান হয়ে যায়।রাদিবের স্যার মোঃ সুমন মিয়া বলেন, রাদিব শিয়ালখোওয়া প্রি-ক্যাডেট স্কুল এন্ড কলেজের এসএসসি ২০২৫ এর ব্যাচ।তাদের ক্লাসে মোট শিক্ষার্থী ২৯ জন, ছেলে ১২ জনের মধ্যে রাদিব প্রথম সারির ছাত্র।লেখা-পড়া, ব্যবহার, ভদ্রতার কোন কমতি ছিল না তার মধ্যে। রাদিবের অকাল মৃত্যুতে পুরো এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে গেছে।মহান আল্লাহর কাছে দোওয়া করি,রাদিবকে যেন জান্নাতুল ফেরদৌসের বাসিন্ধা হিসেবে কবুল করে নেন।
মন্তব্য