১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
শাহজালালে অগ্নিকাণ্ড: ১৭ আনসার সদস্য আহত মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাুষিত কোলাগ্রামের রাস্তার বেহাল দশা অতিদ্রুত রাস্তাটি পাকা করনের দাবী এলাকাবাসীর। লোহাগাড়ায় বাসের ধাক্কায় দুই আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করছি, ভোগবিলাসের জন্য নয়- শাহজাহান চৌধুরী  শোক_সংবাদঃ নির্যাতিত মটর শ্রমিক একতা ঐক্য সমগ্র বাংলাদেশ নরসিংদী জেলা কমিটির শুভ উদ্বোধন আর্থিক ঘাটতি বাড়ছে অনিশ্চয়তার ঘূর্ণিপাকে বন্দি দেশের অর্থনীতি বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে খেলাধুলাকে পুনরুজ্জীবিত করা হবে— শামা ওবায়েদ তাহিরপুরের বাদাঘাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় মঠে ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধন করেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী কামরুজ্জামান কামরুল তানোরে নতুন এসিল্যান্ড শিব শংকর বসাকের যোগদান
  • প্রচ্ছদ
  • কৃষি >> জাতীয় >> দেশজুড়ে >> সিলেট >> সিলেট
  • মাধবপুরে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক
  • মাধবপুরে হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    সিলেট ব্যুরো >>>হবিগঞ্জের মাধবপুরে হাত বাড়ালেই মিলছে মরণ নেশা মাদক। ইয়াবা, ফেনসিডিল কিংবা গাঁজা সেবনের জন্য খুব বেশি খুজতে হয়না মাদকসেবিদের। সবাই জানে কোথায় পাওয়া যায় কোন মাদক। অনুসন্ধানে মিলেছে এমন বেশ কয়েকটি মাদকের খুচরা বিক্রয়কেন্দ্রের। এসব স্পটে অনেকটা প্রকাশ্যেই মাদকের বেচাকেনা ও সেবনের ব্যবস্থা আছে। প্রতিটি স্পটের নিরাপত্তার জন্য আছে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু লোক ও দালাল। দালাল’রা চেহারা দেখেই বুঝতে পারে কে মাদকসেবী। এসব স্পটের বেশির ভাগ ক্রেতাই পরিচিত।অপরিচিত কেউ যেতে চাইলে পরিচিত কোন মাদকসেবিকে সাথে নিয়ে যেতে হয়। তাই মাদকসেবি ছাড়া অন্য কেউ এসব স্পটে প্রবেশের সুযোগ পায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন থেকে শুরু করে এসব দেখার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করেই চলছে মাদকের সবগুলো খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র। এসব খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র বেশিরভাগই সীমান্তবর্তী এলাকায়। সরেজমিনে উপজেলার মাধবপুর পৌরসভা, বাঘাসুরা, শাহজাহানপুর, চৌমুহনী ও ধর্মঘর ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায়, মাধবপুর পৌরসভার সেমকো সিএনজি পাম্পের নিকট আলী আকবর এর বাড়িতে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয় হয়। বাঘাসুরা ইউনিয়নের শাহ্ সুলেমান ফতেহ গাজী মাজারের আশপাশে কয়েকটি স্পটে গাঁজা বিক্রি হয়। এখানে রঘুনন্দন পাহাড়ের উপরে নিয়মিত বসে গাঁজার আসর। তেলিয়াপাড়া চা বাগানে স্মৃতিসৌধের কাছে চন্দ্র পান তাঁতির বাড়িতে অনেকটা প্রকাশ্যে ফেনসিডিল ও ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে। তার বাড়িতে বসেই মাদকসেবিরা সেবন করে এসব মাদক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন বাগানে প্রবেশের সাথে সাথেই খবর পৌঁছে যায় তার কাছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ কেউ তার নিকট থেকে নিয়মিত মাসোহারা নেয় বলে স্থানীয় লোকজন জানায়। বিনিময়ে অভিযানের আগেই খবর পৌঁছে যায় তার কাছে। এখানে প্রতিদিন ১৫০/২০০ বোতল ফেনসিডিল বিক্রি হয় বলে জানা যায়। তেলিয়াপাড়া চা বাগানে এছাড়াও আরও দুটি মাদকের খুচরা বিক্রয়কেন্দ্র আছে। ধর্মঘর ইউনিয়নের আলী শাহ মাজারের কাছে রুবেল মিয়া ও জেবু মিয়ার বাড়িতে এবং সস্তামুরা গ্রামের আলাউদ্দীন এর বাড়িতে ফেনসিডিল ও ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয় হয়। চৌমুহনী ইউনিয়নের আরিচপুর গ্রামের মানিক মিয়ার বাড়িতে ফেনসিডিল ও ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয় হয়। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক কাজী হাবিবুর রহমান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সায়েদুল হাসান পরে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page