মো. বেল্লাল নাফিজ,ভোলা >>> ভোলা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাহাদাত মো. হাছনাইন পারভেজ এবং এসআই জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য, চাঁদাবাজি ও নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের প্রতিবাদে ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয় নির্যাতিত বাসিন্দারা।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওসি হাছনাইন পারভেজ ও এসআই জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি অসাধু পুলিশচক্র দীর্ঘদিন ধরে ভোলায় ঘুষ বাণিজ্যে লিপ্ত রয়েছে। তারা মোটা অঙ্কের ঘুষ আদায় না করলে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে থাকে। অভিযুক্ত ওসিকে ফ্যাসিস্ট ও এসআই জহিরুলকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ আখ্যা দিয়ে মানববন্ধনের তাদের ছবিযুক্ত ব্যানার প্রদর্শণ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা।এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, গ্রেপ্তারকৃত দুলালের স্ত্রী লিলু বেগম, মেয়ে খাদিজা, বড় ভাই শাহজাহান, রুহুল আমিন, জসিম, নুর আলম, বিল্লাল প্রমুখ।স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি পূর্ব ইলিশার বাসিন্দা মো. দুলাল নামে এক নিরীহ ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে, টাকা না দেওয়ায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয় এবং পরবর্তীতে তাকে জেলহাজতে পাঠায়। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “আইনের রক্ষক হয়ে কেউ যেন আইন ভঙ্গকারীতে পরিণত না হয়।” তারা অবিলম্বে ওসি আবু সাহাদাত মো. হাছনাইন পারভেজ ও এসআই জহিরুল ইসলামের অপসারণের দাবি জানান এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রশাসনের একটি প্রভাবশালী মহল এসব অপকর্মে জড়িত থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে। তারা বলেন, “ভোলা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেন, তাহলে নির্যাতিত জনগণ আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।”এসময় জানতে চাইলে ওসি আবু সাহাদাত মো. হাছনাইন পারভেজ গণমাধ্যমকে বলেন, আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রণ করা হচ্ছে। এসকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
মন্তব্য