২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
খোকসায় আওয়ামী লীগ নেতার ভেজাল কারবার চন্দনাইশ খাঁনহাট বাজারে ব্যবসায়ির দোকানে দুর্ধষ চুরি: থানায় অভিযোগ দায়ের বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের উন্নয়নে সর্বাত্মক কাজ করবে — শামা ওবায়েদ প্রবাসীদের দুর্ভোগ লাঘবে ইতালির মিলান কনস‍্যুলেটে হেল্প ডেক্স ও তথ‍্য লেবা কার্যক্রম শুরু সেবাগ্রহীতাদের সাথে উত্তম আচরণ করতে হবে- চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ-১ ও সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জামায়াতের দুইজন প্রার্থীর একসাথে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা শুরু শিবপুরের ফুলকুঁড়ি আদর্শ বিদ্যাপীঠ এর ৫ শ্রেণীর বিদায় উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত তানোরে গলায় ফাঁস দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর মৃত্যু নগরকান্দায় বেড়ায় খাচ্ছে ক্ষেত মালিকের দফাসারা! অপরাধ ঢাকতে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন মাধবপুর উপজেলা স্টেডিয়ামে জমজমাট ফাইনাল ফুটবল ম্যাচ: টাইব্রেকারে চ্যাম্পিয়ন বানেশ্বর
  • প্রচ্ছদ
  • সাহিত্য
  • ভূত খাবে না-কি পিঠা
  • ভূত খাবে না-কি পিঠা

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    মোঃ কাজী আব্দুল্লা হিল আল কাফী

    গ্রামের নাম ঝালপুর। গ্রামটি দেখতে খুবই সুন্দর ছিল। গ্রামে অনেক লোক বসবাস করতেন। গ্রামের রাস্তার
    পাশে একটি তেঁতুল গাছ ছিল। সেই তেঁতুল গাছে কয়েকটি ভূত বসবাস করতেন। ঐ রাস্তা দিয়ে সকল পথচারীদের ভয় দেখাতেন তেঁতুল গাছের ভূত। সবাই ভয়ে আতঙ্ক হয়ে থাকতেন।

    একদিন পাশের গ্রামের এক বুড়ি ঐ রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে তাঁর মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে ভূত দুটি
    গাছের আড়ালে বসে বুড়িকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। বুড়ি ছিলেন বেশ চালাক চতুর সাহসী কোনো কিছু সহজে ভয় করেন না। ভূত যতই চেষ্টা করলেন ভয় দেখানোর জন্য ততই যেন বৃথা হয়ে গেল।

    কিছুক্ষণ পরে বুড়ির সামনে চলে আসলেন দুটি ভূত। বুড়ি তাতেও ভয় করলেন না। বিভিন্নভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করলেন। শেষ পর্যন্ত ভয় দেখাতে পারলেন না। সেদিনের জন্য বুড়িকে ছেড়ে দিলেন।

    সেদিন বুড়ির পিছনে গিয়ে বুড়ির মেয়ের বাড়ি ও বুড়ির বাড়ি দেখে আসলেন ভূত। মেয়ের বাড়িতে বুড়ি বললেন কিছুদিন পর আমি আরো আসবো তাতে তোর জন্য নানান রকম বাহারী পিঠা তৈরী করে নিয়ে আসবো। এ কথা ভূত শুনলেন। এবং বুড়ির পিছন পিছন থাকলেন কোনদিন পিঠা বানাবেন। আর কোনদিন মেয়ের বাড়ি নিয়ে যাবেন।

    ভুতদের খাবারের খুবই অভাব ছিল। একদিন হঠাৎ কর বুড়ি পিঠা তৈরী করতে শুরু করলেন। একটি ভীত খবর পেয়ে বাকি ভূতদের সংবাদ দিলেন। সবাই মিলে একসাথে হয়ে বুদ্ধি করলেন। বুড়ির মেয়ে জামাই ও মেয়ের বাড়ির আত্বীয় হয়ে বুড়ির বাড়ি যাবেন

    শেষে তাই হলো বুড়ির বাড়ি যাওয়ার জন্য সবাই প্রস্তুত হইলেন। সবাই নিজেদের রুপ পরিবর্তন করলেন। এবং বুড়ির বাড়ির দিকে রওনা দিলেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে বুড়ির বাড়ি পৌঁছে গেলেন। বুড়ি ডেকে বললেন আমি তোর জন্য পিঠা বানিয়ে নিয়ে যাবো বলে পিঠা তৈরূ করতেছি। তাতে তুই এসে হাজির যাই হোক ভালো হয়েছে।

    অনেক পিঠা পুলি তৈরী করলেন সবাই মিলে খেতে শুরু করলেন। ভূতেরা যেভাবে পিঠা খেতে শুরু করলেন। তখনই বুড়ির সন্দেহ হইলো এভাবে তো কোনো মানুষ খাবার খায় না।

    এভাবেই গেল কয়েকটি দিন একদিন বুড়ি মাছ এনেছেন এই মাছ দেখে ভুতরা তো অনেক খুশি হয়েছেন। বুড়ি মাছ রাণ্ণা ঘরে রেখে একটু বাইরে গেলেন অল্প সময়ের মধ্যে দুই ভূত কাড়াকাড়ি করে মাছগুলো খেয়ে নিলেন। একটু পর বুড়ি এসে দেখলেন মাছ নেই তাদের জিঙেস করলেন তারা বললেন আমরা জানি না।

    বুড়ি আরও লক্ষ করলেন যে ভূতের আচার আচরণ একদম তার মেয়ের মতো না। সবসময়ই অন্য ভাবে থাকেন।

    বুড়ি ছিলেন অনেক চালাক কয়েকদিন পরে বুড়ি চোর ধরার জন্য আবারও মাছ কিনলেন। তবে এবার মাছের সাথে প্রচুর পরিমাণ লঙ্কা যোগ করলেন। আজকেও মাছ দেখে ভূতরা মহাখুশি লঙ্কা মাখা মাছগুলো আবারও রাণ্ণা ঘরে রেখে দিয়ে বুড়ি বাইরে চলে গেলেন।

    এই অল্প সময়ের মধ্যে দুই ভূত কাড়াকাড়ি করে মাছগুলো খেতে শুরু করলেন ।খেতে খেতে তাদের প্রচুর ঝাল লেগে যায়। দুই ভূতেই লাফালাফি শুরু করলেন। ঐ সময় বুড়ি ঘরে উপস্থিত এসে দেখে মাছ খেয়ে দুজনেই ঝালে লাফাচ্ছে

    বুড়ি জিঙ্গাসা করলেন তোমরা লাফাচ্ছ কেন? ভূত বলে এমনিতেই, তোমার জামাই বললেন অনেক দিন থেকে নাচ করি না তাই একটু নাচ করতেছি। তখন বুড়ি বললেন বাকি মাছগুলো কি হলো একজন তো ঝালের মুখে মুখ ফসকে বলে দিলেন আমরা খেয়েছি।

    বুড়ি বললেন তোমরা আমার মেয়ের বাড়ির আত্বীয় স্বজন তোমরা কিভাবে কাচা মাছ খাবেন । না তোমরা আমার অন্য কেউ ভূত বললেন আমরা হইলাম ভূত পাশের গায়ের তেঁতুল গাছে থাকি।

    আমাদের খাবারের অভাবে এখানে এসেছিলাম ।
    বুড়ি সাহসের সাথে বললেন আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম। যে তোমরা আমার মেয়ের বাড়ির আত্বীয় স্বজন। তখনই ভূত লঙ্কাগুড়ার ভয়ে বুড়ির বাড়ি থেকে চলে গেলেন । তেতুল গাছের উপরে বসে দুই ভূতে ভাবছেন বুড়িকে বোকা বানাবেন কিভাবে?

    ভাবতে ভাবতে ই কয়েকদিন কেটে গেলেন। তবুও কোনো বুদ্ধি বের করতে পারলেন না। একদিন বুড়ি ঐ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন ভূত গাছের ডালে বসে বসে চিন্তা করছেন কিভাবে বোকা বানানো যাবে বুড়িকে।বুড়িকে ভয় দেখানোর জন্য পশুপাখি ও ভয়ঙ্কর ছদ্দবেশে ভয় দেখেও বুড়িকে বোকা বানাতে পারেননি। শেষে ভূত হার মেনে সেই গ্রাম থেকে চলে যায়। তাই আমাদের বুড়ির মতো সাহসী হতে হবে। সকল প্রকার ভয় পেলে বরং ভয়কে জয় করতে হবে।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page