আব্দুল্লাহ আল মারুফ নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম>>>তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বিএনপি ২০১৩-১৪ সালে এবং ২০১৭-১৮ সালে অনেকবার এক দফার আন্দোলন করেছে। কিছুদিন পূর্বেও একদফার আন্দোলন ঘোষণা দিয়েছে। তাদের একদফার আন্দোলন সামাল দিয়ে সরকার ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসেছে এবং সফলতার সাথে বিগত বছরগুলোতে সরকার পরিচালনা করেছে। কাজেই তাদের একদফার আন্দোলন বিষয়ে আমাদের জানা আছে। তিনি বলেন, বিএনপি ২০১৮ সালে অনেক জল ঘোলা করে নির্বাচনে এসেছে। এবারও জল ঘোলা করার চেষ্টা করছে। আমরা আশা করবো, জল ঘোলা করে নয়-তারা প্রস্তুতি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনে আসবে।মন্ত্রী আজ চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন আয়োজিত উন্নয়ন সমন্বয় সভা শেষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের ভিত জনগণের গভীরে প্রোথিত। জনগণই এ সরকারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে। কাজেই কেউ ধাক্কা দিলেই সরকার পড়ে যাবে না। বিএনপি আমাদের ধাক্কা দিয়ে কিছুই করতে পারবে না। বরং সরকারকে ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপিই পড়ে যাবে।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা অতীতে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করেছে। একদফার নামে নৈরাজ্য করেছে। একদফার নামে দোতারা’র সুর বার বার তাদের মুখে জনগণ শুনতে পেয়েছে। এবারও দোতারা’র সুর শব্দ পর্যন্তই থেকে যাবে। জনগণ তাতে সাড়া দেবে না। আন্দোলন সামাল দেওয়ার অভিজ্ঞতা সরকারের রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কারনেই জনগণ সরকারের সাথে আছে এবং থাকবে।
অনুমোদনহীন আইপি টিভির বিরুদ্ধে অভিযান চলবে
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, অনেক আইপি টিভি ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে রীতিমতো ব্যবসা খুলে বসেছে। ইউটিউব চ্যানেলের নামে অনেকে চাঁদাবাজি করছে। নিউজ করতে গেলে টাকা দাবি করা হচ্ছে। অনেকে আবার চিঠি দিয়ে রেইট করে চাঁদাবাজি করছে। এগুলো কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এজন্য অবৈধ ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। চট্টগ্রামসহ কয়েকটি জেলায় অভিযান শুরু হয়েছে। সারা দেশে এ অভিযান চলবে। ঈদের পর অবৈধ ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে অভিযান আরো জোরদার করা হবে। তিনি বলেন, সরকার সম্প্রচার নীতিমালা করেছে। কাজেই সকলকে সম্প্রচার নীতিমালা মেনে চলতে হবে।
সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল। এখানে একেকটি নির্বাচনী এলাকায় ৫/৭ জন করে এমপি প্রার্থী থাকেন। অনেকেই যোগ্য। কিন্তু সবাইকে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়। জনপ্রিয়তা এবং দলীয় আনুগত্য ও ত্যাগের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেওয়া হয়। কাজেই প্রার্থীরা এলাকায় জনসংযোগ করতেই পারেন। এতে করে জনগণের উপকার হয়। গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়।
এর আগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন সমন্বয় সভায় মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। সভায় চট্টগ্রামের সেবা সংস্থাগুলোর চলমান প্রকল্প বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশেষ করে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নগরীর জলাবদ্ধতা ও জলযট নিরসন, কর্ণফুলি টানেলের উদ্বোধন, জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় অবৈধ বসতি উচ্ছেদ ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন, সেখান লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসী ও বিভিন্ন মামলার আসামীদের আইনের আওতায় আনা প্রভৃতি বিষয় আলোচিত হয়।
সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সেবা সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য