বান্দরবান প্রতিনিধি >>> বান্দরবানের জেলা সদরের পৌর এলাকার আর্মি পাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির অঙ্গসংগঠন শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের জেলা কার্যালয়ে ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, ওই রাতে দুইটি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন যুবক এসে হঠাৎ শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের অফিসের দরজা ইট দিয়ে ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় একটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যায়।অফিসের সামনের দোকানদার মো. রিয়াদ জানান, রাত ৩টার দিকে তার দোকানের বাহির থেকে তালা লাগানো হয়। ভাঙচুরের শব্দ শুনে তিনি ঘুম থেকে জেগে উঠলেও হামলাকারীদের চিনতে পারেননি।হামলাকারীরা অফিসের দেয়ালে টানানো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর করে।এ ছাড়া অফিসের মূল্যবান আসবাবপত্র, টেবিল, চেয়ার, টেলিভিশনসহ অন্যান্য সামগ্রীও ভেঙে তছনছ করে পালিয়ে যায়।ঘটনার পর সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বান্দরবান জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জসীম উদ্দিন তুষার, যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবর রশীদ, সদস্য চনু মংসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জসীম উদ্দিন তুষার বলেন, “কিছুদিন আগেও জেলা সদরের কালাঘাটা এলাকায় বিএনপির অফিসে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল। আজ শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের কার্যালয়েও একই ঘটনা ঘটলো। কালাঘাটা অফিসে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে, কিন্তু পুলিশ আজও দোষীদের আইনের আওতায় আনতে পারেনি। আমরা আতঙ্কে রয়েছি—যেকোনো সময় আমাদের ওপর আরও হামলা হতে পারে।”তিনি আরও বলেন, “আমরা আইন হাতে তুলে নেব না। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ—অচিরেই দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।”এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বান্দরবান জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. ফরহাদ সরদার জানান, “বান্দরবান একটি সম্প্রীতির জেলা। এখানে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা কাম্য নয়। এর আগে বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে, তা তদন্তাধীন রয়েছে। আজকের ঘটনায় আমরা আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করবো। যেই হোক, তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এই হামলা চালিয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এই কার্যালয়টি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা এটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।
মন্তব্য