পেকুয়া প্রতিনিধি >>> কক্সবাজারের পেকুয়া কাটাফাঁড়ি ব্রীজ হতে উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া চৌধুরী জেটিঘাট সড়কের ধ্বসে যাওয়া অংশ ট্রাকের ভারে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাবে লোকালয়। সড়কের মগনামার ধারিয়াখালী, রূপাই খাল সোনালী বাজার স্লুইসগেইটসহ ৪ অংশে ধ্বসে গেছে। ধ্বসে যাওয়া রূপাইখালের অংশে ট্রাকের ভারে আরো ধেবে গিয়ে পানির তোড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার দুপুরে ধ্বসে যাওয়া অংশটি ট্রাকের ভারে আরো ধেবে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে করে ধারিয়া খালী,দরদরি ঘোনা,কুমপাড়া মগঘোনার লবণ মাঠ ও বসতবাড়ি তলিয়ে যাবে রাতের জোয়ারের পানিতে। এমনকি সামনে ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটায় সাধারণ মানুষ এক দূর্বিসহ দূর্ভোগে পতিত হল। এটি ত্বরিৎ গতিতে সংষ্কার করা না হলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের অর্থনীতিতে।
স্থানীয় সমাজকর্মী ও প্রবাসী তওহিদুল ইসলাম বলেন, দুই ইউনিয়নের যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক। এটি দ্রুত সংষ্কার করা না হলে প্রায় ৫ হাজার একর লবণ মাঠ ও বসবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাবে। ফলে অবর্ণনীয় দূর্ভোগে পড়বে এ দু ইউনিয়নের মানুষ। ফিকে হয়ে যাবে ঈদ আনন্দ।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এল জি ই ডি)’র প্রকৌশলী আসিফ মাহমুদ বলেন,ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কালভার্ট স্থাপনের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আপাততঃ পানি আটকানোর কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য মগনামা ইউনিয়ন পরিষদকে দায়ীত্ব দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, ভাঙ্গন অংশ দ্রুত সংষ্কার করার জন্য এল জি ই ডি প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশাকরি দ্রুত মাটি ভরাটের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হবে।
মন্তব্য