২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
খোকসায় আওয়ামী লীগ নেতার ভেজাল কারবার চন্দনাইশ খাঁনহাট বাজারে ব্যবসায়ির দোকানে দুর্ধষ চুরি: থানায় অভিযোগ দায়ের বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের উন্নয়নে সর্বাত্মক কাজ করবে — শামা ওবায়েদ প্রবাসীদের দুর্ভোগ লাঘবে ইতালির মিলান কনস‍্যুলেটে হেল্প ডেক্স ও তথ‍্য লেবা কার্যক্রম শুরু সেবাগ্রহীতাদের সাথে উত্তম আচরণ করতে হবে- চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ-১ ও সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জামায়াতের দুইজন প্রার্থীর একসাথে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা শুরু শিবপুরের ফুলকুঁড়ি আদর্শ বিদ্যাপীঠ এর ৫ শ্রেণীর বিদায় উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত তানোরে গলায় ফাঁস দিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর মৃত্যু নগরকান্দায় বেড়ায় খাচ্ছে ক্ষেত মালিকের দফাসারা! অপরাধ ঢাকতে বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন মাধবপুর উপজেলা স্টেডিয়ামে জমজমাট ফাইনাল ফুটবল ম্যাচ: টাইব্রেকারে চ্যাম্পিয়ন বানেশ্বর

পাবনায় হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন

  বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

জামাল হোসেন পাবনা জেলা প্রতিনিধি>>

পাবনায় আবুল কালাম হত্যা মামলায় আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একজনকে খালাস দেওয়া হয়।রোববার (৯ জুলাই) বিকেলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম শামীম আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার শ্রীকোল গ্রামের মো. মোতাহার হোসেন, মো. সাইদুল ইসলাম, আলাই, আক্কাছ আলী ফকির, শাহিন, রমজান আলী প্রামাণিক, মো. সাইফুল ইসলাম ও আতাউর রহমান। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মো. সাইদুল ইসলাম ও মো. সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক।আদালত সূত্র জানায়, সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার আবুল কালাম তার পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য দণ্ডপ্রাপ্তদের সঙ্গে অলিখিত চুক্তিবদ্ধ হন। এ জন্য তারা এক লাখ টাকা দাবি করেন। আবুল কালাম ৪০ হাজার টাকা অগ্রিম দেন। বাকি ৬০ হাজার টাকা জমি উদ্ধারের পর দেওয়া কথা বলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা কালামকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০১৬ সালের ২৪ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দণ্ডপ্রাপ্তরা আবুল কালামকে হত্যার জন্য পাবনা সদর উপজেলার শ্রীকোল পশ্চিমপাড়ায় কৌশলে ডেকে নিয়ে আসেন। এক কোপে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন তারা।এ ব্যাপারে আবুল কালামের ছেলে সুরুজ আলী বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে পাবনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম শামীম ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুস সামাদ খান রতন বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আদালতের এ আদেশে খুশি।তবে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী শাজাহান আলী খান। তিনি বলেন, এ রায়ের আমাদের মক্কেল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page