কাজী মাহমুদুল হাসান,নাটোর >>> নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে কৃষকের সোয়া দুই বিঘা জমির সম্পারাণী জাতের ধান ঘাস মারা বিষ দিয়ে পুড়িয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক।ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে নলডাঙ্গা উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের বাঁশভাগ পূর্বপাড়া গ্রামে।ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হযরত আলী সরদার জানান, শনিবার সকালে প্রতিদিনের মতো জমিতে গিয়ে দেখেন তার সোয়া দুই বিঘা জমির ধান নুয়ে পড়ে গেছে। পরে যাচাই করে দেখা যায়, কে বা কারা রাতের আঁধারে ঘাস মারা বিষ প্রয়োগ করেছে।তিনি বলেন, “এই জমি থেকে চল্লিশ-পঞ্চাশ মণ ধান পাওয়ার আশা ছিল। সব নষ্ট হয়ে গেছে। এখন পরিবার নিয়ে কীভাবে চলবো, বুঝতে পারছি না।”হযরত আলীর অভিযোগ, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তার চাচাতো ভাই সিরাজুল ইসলামের লোকজন এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, “গত বছরেও আমার রসুন, পেঁয়াজ ও ধান একইভাবে ঘাস মারা বিষ দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল।”এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ধান পুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তারাই হয়তো নিজেরাই করেছে, এখন অন্যের ওপর দোষ চাপাতে চাইছে।”স্থানীয় কৃষক লিটন বলেন, “যে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে, তাতে ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে। কোনো বিবেকবান মানুষ এমন কাজ করতে পারে না। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।”পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন বলেন, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। একজন কৃষক সারা বছরের আশায় ফসল ফলায়। যারা এ কাজ করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাবিবুল ইসলাম খান বলেন, “এই ধরনের বিষ প্রয়োগে ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবেদন করলে সরকারিভাবে প্রণোদনা সহায়তা দেওয়া হবে।”নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইফতে খায়ের আলম বলেন, “বিষয়টি আমরা জেনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্তব্য