স্টাফ রিপোর্টারঃ>>>
নড়াইল জেলার লোহাগড়া ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার পাচুড়িয়া গ্ৰামের শেখ সাদি পূর্ববর্তী বাড়ি বাগেরহাট জেলায়।শেখ সাদির রহস্য জনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে,৮নং দিঘলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন লোহাগড়া ফিলিং স্টেশনের মালিক।তার ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার শেখ সাদি দীর্ঘ ৯থেকে১০ বছর যাবত ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্বে পালন করছেন।গত কিছুদিন ধরে টাকা পয়সার হিসাব গড়মিলকে কেন্দ্র করে ৩/৪ দিন ধরে তাকে ওই ফিলিং স্টেশনের রুমের ভিতর ফেলে শারীরিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।ফিলিং স্টেশন এলাকার ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপাররা অভিযোগ করে বলেন,শেখ সাদি ম্যানেজার হিসেবে একজন ভালো মানুষ ছিলেন।তাকে কয়দিন ধরে লোহাগড়া ফিলিং স্টেশনের রুমের মধ্যে ফেলে বিভিন্ন প্রকার শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে এবং আমরা মাঝে মধ্যে তার কান্নার আওয়াজ শুনতে পেরেছি।হাস্যকর বিষয় হল ম্যানেজারকে লোহাগড়া ফিলিং স্টেশনের মধ্যে বোরহান উদ্দিন আটকিয়ে রেখে নির্যাতন চালিয়েছে-তবে শেখ সাদি বিষ পেলো কোথায়? অভিযোগ উঠেছে,ম্যানেজার শেখ সাদিকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছে চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন, সোহেল রানা,শাহাবুদ্দিন, ও সেলিম।এই ৪ জন মিলে শেখ সাদিকে ৩/৪ দিন ধরে বেধড়ক মারপিট করে মেরে ফেলেছে।এমনটি অভিযোগ করেছেন পাম্প এলাকার ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারদের।এবং পরবর্তীতে নাটক সাজিয়ে শেখ সাদির মুখের ভিতর বিষক্রিয়া পদার্থ প্রবেশ করে গুঞ্জন ছড়িয়েছে পড়েছে ম্যানেজার বিষ খেয়েছে।উক্ত ঘটনার সময় চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন মল্লিকুর ইউনিয়নের মেম্বার আব্দুল হাই কে সাথে করে নিয়ে পাচুড়িয়া গ্ৰামে বসবাসরত লোহাগড়া ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার শেখ সাদির বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রীর কাছে থেকে বাড়ির দলিল নিয়ে আসে এবং ওই দলিল ব্যাংকে জমা করে।একে তো শারীরিক নির্যাতন তারপর বাড়ির দলিল ব্যাংকে।এই সব নানান ধরনের চাপে হয়তো বা বিষ খেয়েছে এমনটি ধারণা ফিলিং স্টেশন এলাকার কিছু কিছু মটর শ্রমিকদের।আরো জানা যায় এই সেই বোরহান উদ্দিন,যিনি ঢাকাতে দীর্ঘ বছর ধরে আন্ডার গ্রাউন্ড থেকে খুন ও অনৈতিক কাজ করে কোটি কোটি টাকার পাহাড় বানিয়েছেন।ঢাকার বুকে ৫/৬ টি বাড়ি,লোহাগড়ায় ৩/৪ টি বাড়ি, তৈল পাম্প,বিলাসবহুল গাড়ি সহ নামে,বে নামে জানা,অজানা অনেক সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।গোপনসূত্রে জানা যায় ঢাকাতে একটি কারখানার মালিককে খুন করে ওই কারখানা বিক্রি করে কোটিপতি হয়েছেন।চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বর্তমান লোহাগড়া উপজেলায় কালো টাকার জোরে যা খুশি তাই করছেন বলেও অভিযোগ হাজার ও মানুষের।দিনে দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে হকিস্টিক দিয়ে সাংবাদিককে মারপিট করেছে,সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অপকর্মটি প্রকাশ হয়েছে,কিন্তু প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই।অভিযোগ উঠেছে বোরহান উদ্দিন কালো টাকার জোরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীককে হারিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন।নির্বাচনের বহির্ভূত ও আইন অমান্য করে ২কোটির টাকার মত ব্যয় করেছে বলে ইউনিয়নবাসী জানান।চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে দিঘলিয়া ইউনিয়নে খুন সহ দাঙ্গা হাঙ্গামার নেপথ্যে রয়েছেন চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন।দিঘলিয়া ইউনিয়নের কিছু কিছু সচেতন মানুষের বক্তব্যে বেরিয়ে আসে চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিনের কু-কৃতিত্বের কথা,তারা অতি কষ্ট নিয়ে বলেন ওই মূর্খ বোরহান উদ্দিনের টাকার কাছে এলাকার সুশিক্ষিত ও গুণীজনরা নিস্তব্ধ হয়ে পাথরে পরিণত হয়েছে।নিজ স্বাক্ষরিত করতে পারে না।ইউনিয়ন সচিব,চেয়ারম্যান কর্তৃক ব্যক্তিগত লোক দিয়ে স্বাক্ষর করে যা ইউনিয়নবাসী প্রমানিত।দিঘলিয়া ইউনিয়ন বাজার হলো সরকারী বাজার,আর সরকারী বাজারে ১কোটির কাজ কিন্তু সীমিত টাকার কাজ করেছে,বাকি টাকা কোথায়?বৃষ্টি হলেই বাজারের মানুষ অতিষ্ঠতায় ভুগছে।জনগন প্রতিবাদ করলেই প্রশাসনের ভয় দেখায়।টিসিবি’র কার্ড,বিধভার কার্ড,বয়স্ক ভাতা,সব নিজের মধ্যে রেখে টাকা আত্মসাৎ করেন।হিসাবের বেলায় বিভিন্ন খাতায় অন্যান্যদের নাম দেখা যায়।এবিষয় প্রশাসনের দৃষ্টির প্রয়োজন।বোরহান উদ্দিন ১৯৯৪ সালে খালিহাত,লেখা পড়া জানেনা, বাড়িতে তেমন কোন অর্থ সম্পদ নাই।তার বাবা দিঘলিয়া বাজারের ফুটপাতের একজন পুরাতন কাপড় সেলাই করার দর্জি ছিলেন কিন্তু সে এতো টাকার মালিক কেমন করে হলো?প্রশাসনের নিকট লোহাগড়া উপজেলাবাসী বোরহান উদ্দিনের ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার শেখ সাদির রহস্য জনক মৃত্যু উদঘাটন পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা চেয়েছেন।
মন্তব্য