ইসমাঈল হোসাইন,উত্তরা,ঢাকা >>> হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো শাখায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ‘ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন’ থেকে হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক।মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বেবিচকের সদর দপ্তরে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, “আগুনের উৎস ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে। তাদের তদন্ত শেষ হলে আগুন লাগার প্রকৃত ও সুনিশ্চিত কারণ জানা যাবে।”তিনি আরও বলেন, “আগুনের সময় বিমানবন্দরে থাকা ১৫টি ফ্লাইট ভিন্ন ভিন্ন রুটে পাঠানো হয়েছিল। বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় যেসব যাত্রী আটকে পড়েছিলেন, তাদের সবাইকে পরদিন বিকেল ৪টার মধ্যে নির্ধারিত গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে।”উল্লেখ্য, শনিবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি বিভাগে আগুন লাগে। প্রায় ২২ ঘণ্টা চেষ্টার পর ৩৭টি ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের সঙ্গে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।অগ্নিকাণ্ডে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর হিসাব অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা।
মন্তব্য