সাইফুল ইসলাম বাবু বিশেষ প্রতিনিধি।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম পিপিএম এর হস্তক্ষেপে দ্বিতীয় দফায় অবমুক্ত করা হলো বন্য পাখি।গত মঙ্গলবার (৩রা অক্টোবর) জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম সিলেট থেকে জৈন্তাপুর ফেরার পথে হরিপুর বাজারে এসে পৌছালে দেখতে পান বন্য পাখি দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে বিক্রির জন্য ক্রেতার অপেক্ষা করছে দুই জন অসাধু ব্যবসায়ী। তাৎক্ষণিক তিনি সাথে থাকা পুলিশের ফোর্স নিয়ে তাদের ধাওয়া করলে একজন পাখি ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ সেখান থেকে চারটি বাদামী রংয়ের বকপাখি উদ্ধার করে।এরপর স্হানীয়দের উপস্থিতিতে বকগুলোকে শৃঙ্খলমুক্ত করে নিজ হাতে অবমুক্ত করেন ওসি তাজুল ইসলাম। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে প্রথম দফায় একই বাজারে আটটি বাদামী রংয়ের বকপাখি অবমুক্ত করেছিলেন তিনি।এ বিষয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম পিপিএম বলেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন বিলে মৎস আহরণের স্হানে ও বনে জঙ্গল থেকে ফাঁদ পেতে বকপাখি সহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্য পাখি শিকার করে। এর মধ্যে কিছু বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতিও রয়েছে।তিনি আরো জানান বন্যপাখি শিকার, বিক্রয় ও রান্না করে বিক্রি আইননত দন্ডনীয় অপরাধ। হরিপুর এলাকায় এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ মহাসড়কের পাশে গাড়ী সিগন্যাল দিকে পাখি বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। তাদের মূল ক্রেতা শহর থেকে বেড়াতে আসা দরশর্নার্থীরা।তিনি ভবিষ্যতে এ ধরণের বন্যপাখি বিক্রয়রোধে কঠোর হুশিয়ারী প্রদান করেন এবং জৈন্তাপুর উপজেলার যে কোন স্হানে কিংবা বাজার হাটে গোপনে কিংবা উন্মুক্ত ভাবে পাখি বিক্রির সংবাদ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে অবগত করার আহবান জানান।
মন্তব্য