নিজস্ব প্রতিবেদক >>> আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম-১৪ আসনের (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) রাজনৈতিক অঙ্গনে বইছে নির্বাচনী প্রস্তুতির হাওয়া। স্বতন্ত্র ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
তারই প্রেক্ষিতে, “বৃহত্তর চট্টলা নাগরিক পরিষদ” এর ব্যানারে চট্টগ্রাম- ১৪ থেকে (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) এমপি প্রার্থী হিসেবে সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এইচ এম জসিম উদ্দীন জসি বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে নিজের প্রার্থীতা জানান দিতে শুরু করেছেন।
সর্বশেষ এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, স্থানীয়ভাবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও দীর্ঘদিনের প্রশাসনিক, সাংগঠনিক এবং উন্নয়নমূলক কাজের অভিজ্ঞতার কারণে অন্যদের তুলনায় এমপি প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছেন সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এইচ এম জসিম উদ্দীন জসি।
এ জনমত জরিপে অংশ নেওয়া ভোটারদের একটি বড় অংশ জানিয়েছেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা, সাদামাটা আচরণ এবং জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কই এইচ এম জসিম উদ্দীন জসিকে অন্য প্রার্থীদের তুলনায় এগিয়ে রাখছে। অনেকেই মনে করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সাধারণ মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে আস্থা ও ভালবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মাঠ পর্যায়ে এইচ এম জসিম উদ্দীন জসির তৃণমূলভিত্তিক শক্ত শিকড় তুমুল জনপ্রিয়তা আসন্ন নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখবে। অতীতে তাঁর নেতৃত্বে এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বেকার যুবকদের চাকুরী প্রদানসহ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, সড়ক, বিদ্যুৎ ও সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের দৃশ্যমান অগ্রগতি ঘটেছে বলেও তারা মন্তব্য করেছেন।
সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের রফিক আহমদ বলেন, জসিম উদ্দিন সবসময় মানুষের পাশে থাকেন। দুর্যোগে বা সমস্যায় তাঁকে পাশে পাওয়া যায়। আগের জনপ্রতিনিধিরা শুধু ভোটের সময় এলাকায় আসতেন। কিন্তু জসিম উদ্দিন নিয়মিত খোঁজখবর নেন। তাই এবার আমরা তাকেই ভোট দিতে চাই।
ধর্মপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কামাল উদ্দিন বলেন, শিক্ষার উন্নয়নে তাঁর কিছু কার্যকর উদ্যোগ আমরা দেখেছি। বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের সহায়তায় তিনি কাজ করেছেন। এজন্য এলাকায় তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। এলাকার যোগ্য প্রতিনিধি হিসেবে এবার ভোটাররা তাকেই বেছে নিবে। কারণ তার কার্যক্রম ইতোমধ্যে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
দোহাজারী পৌরসভার বাসিন্দা সাকিবুর রহমান বলেন, তরুণদের জন্য তাঁর পরিকল্পনা বেশ প্রশংসনীয়। কর্মসংস্থান তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তরুণ সমাজের অনেকেই তাঁর পক্ষে কাজ করছে। এ ছাড়াও তিনি এলাকার উন্নয়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে স্বচ্ছতা আনতে চান। প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে জানেন, তাই আমরা তাঁর প্রতি আস্থাশীল।
মন্তব্য