আনোয়ার হোসেন-কিশোরগঞ্জ(নীফামারী) প্রতিনিধিঃ>>>
“মশা,মাছি নিধন করি,রোগ মুক্ত খামার গড়ি”।এ আওয়াজ তুলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে গবাদি পশুর ভাইরাস জনিত চর্মরোগ লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) রোগ মোকাবেলায় গ্রামে গ্রামে ভ্যাকসিন নিয়ে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ।এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে পুটিমারী ২নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ফ্রি ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।এতে উপস্থিত ছিলেন,জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোনাক্কা আলী,উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা.নুরুল আজিজ, উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা.নাহিদ সুলতান,উপজেলা প্রাণীসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডা.আল ফারুক,উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুজন কুমার সরকার,রতন কুমার সরকার,এলএসপির দয়াল মিয়াসহ স্থানীয় শতাধিক গবাদি পশু পালনকারী কৃষক ও খামারী প্রমুখ। এসময় প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা নুরুল আজিজ এ রোগের কারণ,লক্ষণ,নিয়ন্ত্রণের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে আলোকপাত করেন।তিনি আরো বলেন,ইতিমধ্য বিভিন্ন এলাকায় গবাদি পশুর ভাইরাসজনিত রোগ লাম্পি স্কিন ডিজিজের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। যা গত ২ মাস ধরে গ্রামে গ্রামে গিয়ে ফ্রি ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে সুস্থ গবাদিপশুকে গোটপক্স ভ্যাকসিন প্রদান করা হচ্ছে। যেন পরবর্তীতে এই ভাইরাস জনিত রোগ আর না ছড়ায়। পাশাপাশি টিকা বীজ ক্যাম্পেইন,উঠান বৈঠক,লিফলেট বিতরণসহ খামারি ও কৃষকদের হতাশা না হওয়ার জন্য পরামর্শ ও সচেতন করা হচ্ছে।আমাদের এই কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে প্রতিটি এলাকায় গবাদিপশুর ভ্যাকসিন কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন করা হবে।এ ব্যাপারে ভেটেরিনারি সার্জন ডা.নাহিদ সুলতান বলেন,এই রোগটি মোকাবেলা করতে হলে প্রথমে অসুস্থ গরু থেকে সুস্থ গরু আলাদা রাখতে হবে। উপযুক্ত ক্ষেত্রে মশারী ব্যবহারসহ গরু রাখার জায়গা পরিস্কার, পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মশা, মাছি দমন করতে হবে। তিনি আরো জানান,রোগটি দেখা দিলে গ্রাম্য হাতুড়ে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর অথবা ভেটেরিনারি সার্জনের সাথে যোগযোগ করার জন্য বলা হচ্ছে।
মন্তব্য