১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নতুন সংকট আরাকান আর্মি! শেখ হাসিনা পরিবারের সম্পত্তি দেখাশোনায় প্রশাসক নিয়োগের আদেশ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ দল কর্তৃক ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট পরিদর্শন পুঠিয়ায় নামাজরত অবস্থায় ধ*র্ষ*ণের চেষ্টাকারী শিহাব আটক। রাজশাহীর তানোরের শিব নদের নাব্যতা সংকট পুঠিয়ায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খেজুর গাছে ধাক্কা-নি*হ*ত ১ জামালপুর সদরের তারাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইফতার দোয়া মহফিল অনুষ্ঠিত জামালপুরে ধর্ষণ মামলার আসামির বয়স কমানো নিয়ে আইনজীবী ও ছাত্র জনতার সাথে তুমুল সংঘর্ষ। বাংলাদেশ ব্যাংকস্ এমপ্লয়ীজ ফেডারেশনের উদ্যোগে শ্রম সংস্কার কমিশন মতামত আলচনা সভা। সাতকানিয়া ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
আন্তর্জাতিক:
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য >> পাবনা
  • এক হাজার টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন
  • এক হাজার টাকার জন্য বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    জামাল হোসেন পাবনা জেলা প্রতিনিধি>>> বন্ধুর মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে যান আব্দুস সামাদ ওরফে সম্রাট (২৮)।এক পর্যায়ে মোটরসাইকেলটি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে মেরামত করতে দুই হাজার টাকা খরচ হয় তার বন্ধু আজাদ হোসেনের।তার মধ্যে আজাদকে এক হাজার টাকা দেন সম্রাট।আর বাকি এক হাজার টাকা পাওনা নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়।তারই এক পর্যায়ে পাওনা এক হাজার টাকা না দিয়ে বন্ধু আজাদকে হত্যা করেন সম্রাট।গত ১১ মার্চ পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া এলাকার রাজমিস্ত্রি আজাদ হোসেন হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও অভিযুক্ত সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।রোববার (১৭ মার্চ) সকালে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ আলম।এর আগে শনিবার (১৬ মার্চ) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।নিহত আজাদ পাবনা সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে এবং গ্রেপ্তারকৃত আব্দুস সামাদ ওরফে সম্রাট একই গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে।প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন,গত ১১ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আজাদ তার ডিসকভারী মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি।সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজাখুজি করে তার সন্ধান না পেয়ে পরদিন বিকেলে পাবনা সদর থানায় নিখোঁজ জিডি করেন তার বাবা আব্দুল হাকিম।খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ১৩ মার্চ দুপুরের দিকে দাপুনিয়া ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের মোশাররফ চেয়ারম্যান এর খামারের পাশে লিচু বাগানে পাওয়া যায় নিখোঁজ আজাদের ক্ষত বিক্ষত মরদেহ।পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।এরপর ঘটনা তদন্তে মাঠে নামে সদর থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ একটি টিম।তারা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আজাদ হত্যার কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত সম্রাট।জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট জানায়,তারা দু’জনে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং একসঙ্গে রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন।এক মাস আগে আজাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।এতে মোটরসাইকেল মেরামত বাবদ দুই হাজার টাকা খরচ হয় আজাদের। তার মধ্যে এক হাজার টাকা দেন সম্রাট।বাকি এক হাজার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।সেই থেকে অভিযুক্ত সম্রাট কিভাবে তার বন্ধু আজাদকে হত্যা করবে তার সুযোগ খুঁজতে থাকে।এরই ধারাবাহিকতায় সম্রাট কৌশলে গত ১১ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার বন্ধু আজাদকে ডেকে নিয়ে মোশাররফ চেয়ারম্যানের খামারের পাশে লিচু বাগানে যায়। সেখানে কথা-বার্তার একপর্যায়ে সম্রাট তার কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে আজাদের গলায় ও চোখের নিচে আঘাত করে। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ টেনে হিঁচড়ে ঘটনাস্থলে থাকা শিম গাছের শুকনা লতাপাতার নিচে ঢেকে রাখে।হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু ঘটনাস্থলের পাশে ধান ক্ষেতে ফেলে দেয়।নিহত আজাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং তার গায়ে থাকা রক্তমাখা জ্যাকেট নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।যাবার সময় আজাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন পথিমধ্যে ছয়ঘড়িয়া গ্রামের একটি পুকুরে ফেলে দেয়।এছাড়া আজাদের রক্তমাখা জ্যাকেট এবং মোটরসাইকেলের ডিজিটাল নম্বর প্লেট সম্রাট তার শোবার ঘরে রেখে মোটরসাইকেল নিয়ে নাটোরের লালপুর উপজেলার মোহরকয়া গ্রামে জনৈক ফারুক শেখের বাড়িতে রেখে আসে।গ্রেপ্তারের পর সম্রাটের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাকে সঙ্গে নিয়ে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন,মোটরসাইকেল,পরিহিত রক্তমাখা জ্যাকেট ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু জব্দ করে পুলিশ।এ ঘটনায় হত্যার দায় স্বীকার করে শনিবার বিকেলে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন সম্রাট।পরে তাকে সদর থানার মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page