সোহেল রানা,প্রতিনিধি >>> রাজশাহী মহানগরীতে আরডিএ’র (রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) উদাসীনতায় বহুতল ভবন নির্মাণে চরম অনিয়ম এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। কোনো প্রকার নিয়মনীতি মানা ছাড়াই প্রভাবশালী ব্যক্তি ও নামধারী টাওয়ার মালিকরা একের পর এক ভবন নির্মাণ করছেন।ইমারত নির্মাণ আইন অনুযায়ী ফাঁকা জায়গা রেখে ভবন নির্মাণ বাধ্যতামূলক হলেও তা মানছেন না অধিকাংশ ডেভেলপার ও ভবন মালিক। অভিযোগ রয়েছে, পিয়ন থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিশেষ সুবিধা দিলে সহজেই নকশার অনুমোদন মেলে।নগরীর নতুন বিলশিমলা এলাকায় হাফ শতাংশ জমিতে অনুমোদন ছাড়াই ভবন নির্মাণ করছেন মমিন উদ্দিন ও তার ভাই পুলিশ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। আরডিএ কর্তৃপক্ষ গত বছর ভবন অপসারণের নোটিশ দিলেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।এছাড়া বড় বনগ্রাম এলাকায় ট্রেজারি অফিসের কর্মকর্তা সাজাহান খানসহ কয়েকজন ইমারত নির্মাণ আইন উপেক্ষা করে ‘বিসমিল্লাহ টাওয়ার’ নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইসলামী হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায়ও একইভাবে নিয়ম না মেনে একাধিক ভবন গড়ে উঠছে।ইমারত বিধিমালা অনুযায়ী সাত তলার বেশি ভবনে অগ্নি শনাক্তকরণ যন্ত্র ও ধোঁয়া নির্গমন ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক হলেও তা মানছে না অধিকাংশ ভবন মালিক।এ বিষয়ে আরডিএ’র নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ তারিক বলেন, “ইমারত বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আমরা সতর্কবার্তা পাঠাচ্ছি এবং নিয়ম না মানলে নির্মাণকাজ বন্ধ করে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। অভিযান চলমান রয়েছে।বিশ্লেষকদের মতে, আরডিএ’র তদারকি ঘাটতি ও শিথিল মনোভাব রাজশাহীর নগর চিত্র ও নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে।
মন্তব্য