সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি।>>>
গতকাল ১৭ জুন ২০২৩ খ্রিঃ,সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার ঐতিহাসিক মধ্যভদ্রঘাট পলাশডাঙ্গা যুবশিবির স্মৃতি সৌধ ও যাদুঘরে ঐতিহাসিক যূদ্ধ দিবস পালিত হয়৷ অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল কুমার দাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন সদর-কামারখন্দ আসনের মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য উন্নয়নের সারথী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবে মিল্লাত৷অনুষ্ঠানে লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয় গবেষক হিসাবে সাধন চন্দ্র বসাককে ঐতিহাসিক ভদ্রঘাট যুদ্ধ দিবস সন্মাননা স্মারক প্রদান করেন৷ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার আছে বলেই এ দেশে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজারিত জায়গায় বিভিন্ন ধরণের স্মৃতি স্তম্ভ হচ্ছে৷পলাশডাঙ্গা স্মৃতি সৌধ ও জাদুঘর তৈরী করতে সরকার ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন৷তিনি আরোও বলেন,মুক্তিযোদ্ধারা জীবনের সবকিছু তুচ্ছ করে দিয়ে যুদ্ধ করেছেন বিধায় আজ আমরা স্বাধীন৷মিল্লাত এমপি আরোও বলেন,আজ আমরা উন্নত দেশের নাগরিক হওয়ার পথে৷তিনি বলেন,পলাশডাঙ্গা যুবশিবির এর ক্যাম্পের জায়গা ছেড়েদিয়েছিলেন এই গ্রামের সন্তান প্রয়াত হারান বসাক৷তার প্রতিও বিনম্র শ্রদ্ধা ও পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের পরিচালক প্রয়াত আব্দুল লতিফ মির্জার প্রতিও বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন৷পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের আরোও ইতিহাস তুলেধরতে সাধন চন্দ্র বসাককে অনুপ্রাণিত করেন৷ পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের সর্বাধিনায়ক সোহরাব আলী বলেন,১৯৭১ সালের ৬ জুন ভদ্রঘাটে পলাশডাঙ্গা যুব শিবির গঠিত হয় এবং১৭ জুন পাকহানাদার বাহিনী হারান বসাকের বাড়ির ক্যাম্পসহ শতাধিক বাড়ী ঘর পোড়াইয়া দেয় এবং ১৬ জন নিহরী মানুষ হত্যা করে৷ সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিমল কুমার দাস বলেন,শ্রদ্ধা জানাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের৷ অনুষ্ঠানে আরোও উপস্হিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শফিকুল ইসলাম শফি,উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম শহিদুল্লাহ সবুজ,বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ আজিজ সরকার,বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান মাখন,বীর মুক্তিযোদ্ধা সামছুল আলম,কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরনবী,উপজেলা আওয়মীলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন,ভদ্রঘাট ইউ পি চেয়ারম্যান আঃ মালেক খাঁনসহ স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ,অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাবেক উপজেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজি সহেব৷
মন্তব্য