এম, এ কাশেম, চট্টগ্রাম থেকে>>> উত্তর চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে জামায়াতের কর্মী সমাবেশ চলাকালে বিএনপি ও জামায়াত কর্মীদের কথা কাটাকাটি নিয়ে সঃঘর্ষে উভয় দলের ১৭/১৮ জন নেতা-কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের ঘটনা সম্পর্কে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।পাওয়া খবরে প্রকাশ-শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মীরসরাই পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের এস রহমান জামায়াতে ইসলামী একটা কর্মী সভা করছিলো।এ সময় শাহ আলম নামে স্থানীয় বিএনপি নেতার সাথে সভা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। ওই বিএনপি নেতা শাহ আলম অভিযোগ করে বলেন, জামায়াত কিছু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী নিয়ে কর্মী সভার নামে হঠাৎ করে স্কুলে মিটিং করছে জেনে তা দেখতে যাই। সেখানে যাওয়া মাত্র-ই কয়েকজন আমার ওপর চড়াও হয় এবং এখানে কেনো আসলাম তা জানতে চেয়ে আমাকে সভাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেয়।এ ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা সেখানে গিয়ে তাদের কে জিজ্ঞেস করতে গেলে তারা তাদের ওপর ও ক্ষেপে যায়।এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক এক পর্যায়ে তা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার রুপ নেয়। ঘটনা প্রসঙ্গে মীরসরাই উপজেলা জামায়াতের অফিস সেক্রেটারি শফিকুল আলম শিকদার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন,’শুক্রবার বিকালে সাংগঠনিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে মীরসরাই পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে স্থানীয় একটি স্কুল মাঠে কর্মী সমাবেশ চলছিলো।এ সময় এলাকার স্থানীয় বিএনপি নেতা শাহ আলম অনুষ্ঠান স্থলে এসে জামায়াত নেতাদের হাত থেকে মাইক কেড়ে নিয়ে বলেন,আমাদের না জানিয়ে অনুষ্ঠান করা যাবে না।তখন আমাদের সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বুঝিয়ে তাকে অনুষ্ঠানস্থল থেকে বের করে দেন।এর কিছুক্ষণ পর মীরসরাই সদর থেকে পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসানের নের্তৃত্বে ৪০/৫০ জনের একটি দল লাঠিসোটা ও হকিস্টিক নিয়ে সভাস্থলে এসে হামলা চালায়।তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেতা শাহ আলম হুংকার দিয়ে বলেন,আপনারা যে দলের হোন না কেনো এখানে অনুষ্ঠান করতে হলে আমাদের অনুমতি নিতে হবে।’এ বিষয়ে মীরসরাই পৌরসভা যুবদলের সভাপতি কামরুল হাসান বলেন, ‘আমার কাছে খবর আসে জামায়াত আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে প্রোগ্রাম করছে। খবর পেয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করতে গেলে তারা আমার ওপর ও চড়াও হয়।এ সময় আমার সাথে থাকা নেতা-কর্মীরা তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করতে গেলে তারা তাদের ওপর ও হামলায় চালায়।এতে আমাদের ১০/১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।এ প্রসঙ্গে জামায়াত নেতা ও সুপ্রিম কোর্ট’র আইনজীবী সাইফুর রহমান বলেন, ঘটনার সময় আরেকটি স্থানে একটি প্রোগ্রামে থাকাবস্থায় ঘটনাটির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক বিষয়টি মীরসরাই থানাকে অবহিত করি।এবং পরে স্থানীয় মস্তান নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ভর্তি রত: আহতদের দেখতে যাই।তিনি বলেন,এ সময় আমার সাথে কয়েকজন বিএনপি নেতা ও উপস্থিত ছিলেন।তারা ঘটনাটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত আখ্যা দিয়ে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।এবং দায়িত্বববান নেতাদের অবহিত করনের মাধ্যমে ঘটনায় জড়িতদের দোষ-নির্দোষ বিবেচনা য় নিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলবেন বলে ও জানান।জামায়াত নেতা এডভোকেট সাইফুর রহমান বলেন,ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।আর সেই নিরিখে অপরাধীদের সনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।তিনি সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেন,পতিত আওয়ামী লীগের কোনো ইন্ধনে দুঃখজনক এমন ঘটনা কেউ ঘটাতে পারে কি না তা ও ভেবে দেখার দরকার রয়েছে।আহতদের মধ্যে অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে চলে গেলে ও কয়েকজন এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।এ ছাড়া নুরুল আলম নামে একজনের অবস্থা গুরুতর: হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত আখ্যা দিয়ে মীরসরাই উপজেলা বিএনপি’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- এমন ঘটনা দলের নীতি ও আদর্শ বহির্ভূত।ভেবে দেখতে হবে যে,তৃতীয় কোনো শক্তি এতে জড়িত রয়েছে কি না।এবং ব্যাক্তি আক্রোশে এমন ঘটনা ঘটেছে কি না তা ও দেখতে হবে।তবে,দলের কেউ তাতে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য