১২ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:

ভূমি মানব জীবনের মাদারবোর্ড

  বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

কলামিস্ট আবদুল্লাহ আল মারুফ >>> মানুষের মৌলিক চাহিদার প্রায় সবগুলোই ভূমির উপর নির্ভরশীল। তাই ভূমি ব‍্যবস্থাপনা সংস্কার করে, বিষয় ভিত্তিক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে, ভূমি ব‍্যবস্থাপনা পরিচালনার স্বাধীনতা, দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতামৃলক ভূমি সেবা পাওয়া সাধারণ মানুষের অধিকার। ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ সৃষ্টির ৯৫% কারণ : “ভুল সম্পাদিত দলিল”। “সাব-রেজিস্ট্রার অফিস”, “ভূমি অফিস” নয় বা ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কোনো অফিস নয়। অফিসটি “আইন মন্ত্রণালয়ের” অধীনস্থ অফিস। সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে আপনার জমির মালিকানা যাচাই করার মতো কোনো প্রকার কাগজপত্র বা রেকর্ড-রেজিস্ট্রার নেই। সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে ৫ থেকে ৬ জন সরকারি ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত। বাকি ১০০ থেকে ২০০ জন লাইসেন্স প্রাপ্ত দলিল লেখক এবং নকল নবিশ। (তাদের মূল পেশা: সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি এবং দলালি)। তাদের বেশির ভাগই অষ্টম শ্রেনি পাস। একজন অষ্টম শ্রেনি পাস দলিল লেখকের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে, একজন কৃষকের জমি রেজিষ্ট্রেশন করে হয়। কি অদ্ভূত ব‍্যপার। তাদের সরকারি ভাবে এক টাকাও বেতন নাই। তাহলে, সাধারণ মানুষ কিভাবে? তাদের নিকট থেকে সঠিক ভূমি সেবা বা পরামর্শ পাবে? এই কারণেই ১০০টি দলিল যাচাই করলে ৯৫টির মধ্যে ভুল পাওয়া যায়। একই জমির, ভূমি অফিসের পরামর্শ এবং সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের (দলিল লেখকের)পরামর্শ এক হয় না। জমির কাগজপত্রে সমস্যা থাকলেও “দলিল লেখকগণ’ কখনও জমির ক্রেতাকে কাগজপত্রের সমস্যার কথা বলেনা। কারণ: দলিল লেখকগণের একমাত্র পেশা “দলিল লেখা”, এই “দলিল লেখার” ইনকামের টাকা দিয়ে তাদের সংসার চালাতে হয়। গ্রহীতাকে জমির প্রকৃত সমস্যার কথা বলে দিলে, গ্রহীতা জমি ক্রয় করবেন না। দলিল লেখক, দলিল লেখতে না পারলে, তার পকেটে টাকা আসবেনা। প্রকৃতপক্ষে, জমির বিরোধ/মামলা এখন থেকেই সৃষ্টি। “সাব-রেজিস্ট্রার” ও দলিল লেখকের মাধ‍্যমে, “একটি ভুল সম্পাদিত দলিল” শুধু এক ব‍্যক্তিকে নয়, একটি পরিবার ধবংস করে দেয়”। আপনার দলিলে, ভুল করার জন্য, “সাব-রেজিস্ট্রার” এবং দলিলে লেখকদের কোনো প্রকার জবাবদিহিতাও করতে হয় না। পরে, এই “ভুল দলিলকে” কেন্দ্র করে শুধু হয়, মামলা, মারামারি, কাটাকাটি, খুনাখুনি ইত্যাদি হাজার রকমের সমস্যা। মূলত জমি সংক্রান্ত বিরোধ থেকেই পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং সামাজিক অশান্তির সৃষ্টি হয়। ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে এই লেখাগুলো আমার ব‍্যক্তিগত কোনো স্বার্থের জন্য নয়। এর মধ্যে ১৮ কোটি মানুষের স্বার্থ রয়েছে। এছাড়াও লেখাগুলো কোনো অফিসের কম-বেশি ঘুষের তুলনা করার জন্য নয়, এটি নৈতিক দায়িত্ব। যৌক্তিক মনে হলে, ফলো দিন [ভূমি ব‍্যবস্থাপনা পরাধীন]

মন্তব্য

আরও পড়ুন

You cannot copy content of this page