মোঃ শাহিনুর রহমান আকাশ ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি>>
রাজশাহীর বাগমারার উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন মজিদপুর গ্রামে জায়গা জমি বিষয় কে কেন্দ্র করে একি পরিবারের সবাইকে বেধড়ক লাঠিপেটা, এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করছে একদল সন্ত্রাসী।কোপানো হয়েছে তিনজনকে। এতে গুরুতর ভাবে আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ওই তিনজন ব্যক্তি।গত রোববার (১১জুন) দুপুর আনুমানিক ২,৩০ ঘটিকার সময়ে সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে।স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যাই যে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে ইসমাইল হোসেনের বাড়িতে ১। মোঃ মুনসুর রহমান (৪০), ২। মোঃ ইব্রাহিম আলী (৪৫), ৩। মোঃ সামসুল আলী (৩৫) সর্ব পিতা-মৃত সোলেমান, ৪। মোঃ নাফিজ (১৮) পিতা-মোঃ সামসুল আলী, ৫। মোছাঃ কামরুন নাহার (৪০) স্বামী-ইব্রাহীম আলী ও মোছাঃ মৌসুমী খাতুন (৩৮) স্বামী-মোঃ মুনসুর রহমান, ৭। মোছাঃ বেবী (৩০) স্বামী-মোঃ সামসুল আলী, ৮। মোছাঃ শাফিয়া (১৯) পিতা-মোঃ ইব্রাহিম আলী ৯। মোছাঃ রিমা খাতুন (২৬) স্বামী- জয়নাল, একদল সন্ত্রাসী গ্রুপ, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়।এতে করে ইসমাইল হোসেনের পরিবারের মোট পাঁচজন সদস্য সবাই ব্যাপকভাবে আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন ইসমাইল হোসেন, রাশেদা বেগম এবং রিতা খাতুন। এছাড়াও আরো দুই বোন আহত হয়ে বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই ঘটনায় বাগমারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন আহত ইসমাইলের মেয়ে বন্যা খাতুন। এদিকে ঘটনার ১ সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামি আটক করতে পারেনি বাগমারা থানা পুলিশ।আরো জানা যায় যে, সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বারা নির্যাতনের শিকার ওই ভুক্তভোগী পরিবারটি বর্তমানে এলাকায় আসতে ভয় পাচ্ছেন। বিভিন্ন মাধ্যমে ভুক্তভোগী ওই পরিবারটিকে ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে। ইসমাইল হোসেনের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। এছাড়াও ইসমাইল হোসেনের স্ত্রীকে হাতে কোপ দেওয়া হয়েছে। ইসমাইল হোসেনের আরো একজন মেয়েকে মাথায় উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এছাড়াও ইসমাইল হোসেনের আরো দুই মেয়েকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছে।এই বিষয়ে ইসমাইল হোসেনের মেয়ে বন্যা খাতুন তিনি বলেন, আমাদের বাসার সবাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। ভাগ্যক্রমে আমরা সবাই বর্তমানে বেঁচে আছি। এমনকি মেয়েদের শরীরে হাত দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছে। আমাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন,আসামিরা পলাতক রয়েছে, তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এবং মামলার দায়িত্ব অন্য অফিসারের কাছে আছে তিনি বর্তমানে ট্রেনিংয়ে রয়েছেন।
মন্তব্য