২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
রাজশাহীতে বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনে রূপান্তর আমাদের প্রাণের দাবি — শাহজাহান চৌধুরী  তদন্ত শেষে আগুনের প্রকৃত কারণ জানা যাবে: বেবিচক চেয়ারম্যান পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু নিরাপদ সড়ক দিবসে সুনামগঞ্জের ডিসি ডোপ টেস্ট ছাড়া মিলবে না লাইসেন্স- ড মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বাগাতিপাড়ায় মাদকবিরোধী অভিযান, তিনজনের জেল-জরিমানা নাটোরে বিশেষ অভিযানে সর্বহারা নেতাসহ আওয়ামী লীগের ৫ নেতা–কর্মী গ্রেফতার পাটগ্রামে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে মাস মিডিয়া ক্যাম্পেইন রাজশাহীর পদ্মায় কুমির, নদীতে গোসল না করতে মাইকিং কিশোরগঞ্জে নাগরিক সেবার মান উন্নয়নে গণ-শুনানী অনুষ্ঠিত
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য
  • “ত্রিশালে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহযোগিতায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান”
  • “ত্রিশালে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহযোগিতায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান”

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    সোহেল রানা ত্রিশাল উপজেলা প্রতিনিধি>>> “ত্রিশালে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহযোগিতায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান” পরিচালিত হয়েছে।বুধবার ত্রিশাল শহরের প্রধান সড়ক ও তার আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে দখল করা দোকানপাট ও অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়,যা দীর্ঘদিন ধরে জনদুর্ভোগের অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।সড়কের পাশে অবৈধ বাজার বসানোর ফলে রাস্তাটি সংকুচিত হয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছিল,এবং সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম অসুবিধা দেখা দিচ্ছিল।এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ এবং সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমান।তাদের দক্ষ পরিচালনায় উচ্ছেদ কার্যক্রমটি অত্যন্ত সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।প্রশাসনের দাবি,এই উচ্ছেদের ফলে সড়ক পরিবহন আরও নিরাপদ ও কার্যকর হবে,যানজট কমবে, এবং এলাকাবাসী স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারবে।স্থানীয় বাসিন্দারা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেছেন,এটি দীর্ঘদিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে সহায়ক হবে।তবে,উচ্ছেদ অভিযানের ফলে কিছু ব্যবসায়ী অসন্তুষ্ট হয়েছেন।তাদের অভিযোগ,রাস্তার পাশে থাকা দোকানগুলো তাদের পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস ছিল।যথাযথ পুনর্বাসনের ব্যবস্থা ছাড়া হঠাৎ করে উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানোর কারণে তারা চরম আর্থিক সংকটে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ব্যবসায়ীরা মনে করেন,যদি আগেই তাদের পুনর্বাসনের উপযুক্ত পরিকল্পনা করা হতো,তাহলে পরিস্থিতি আরও মানবিকভাবে সমাধান করা যেতো।অন্যদিকে,ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়ে সড়ক ব্যবহারকারী সাধারণ মানুষ ও যাত্রীরা এই উচ্ছেদ অভিযানকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন।তাদের মতে, ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যত্রতত্র সিএনজি এবং অন্যান্য যানবাহন দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামার কারণে প্রতিদিনই যানজটের মুখোমুখি হতে হয়েছে।অবৈধ দোকান সরিয়ে ফেলার ফলে সড়কটি আগের তুলনায় প্রশস্ত হবে এবং যানবাহনের চলাচল সহজ হবে,জ্যাম অনেকটা হ্রাস পাবে।ভবিষ্যতে ত্রিশাল নজরুল কলেজ মার্কেটের সামনের সড়ক এবং ফুটওভার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় আর কোনো অবৈধ দোকানপাট বা বাজার বসানো না হয়,সে জন্য প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।তারা মনে করেন, এ ধরনের কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন,যাতে পুনরায় অবৈধ স্থাপনা তৈরি না হয় এবং জনসাধারণের চলাচল সুরক্ষিত থাকে।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page