মোঃ ফরমান উল্লাহ, ভ্রাম্যমান সংবাদদাতা>>>
সারা দেশে বাড়ছে তাপমাত্রা। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট জনবীবন। দীর্ঘদিন যাবৎ বৃষ্টি না হওয়ায় তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। গরমে অতিষ্ট জনগন। তার সাথে বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিংয়ে যোগ হওয়া গরমে দিশেহারী মানুষ,গৃহপালিত পশুপাখি।মাত্রাতিরিক্ত গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে মানুষ। তার মধ্যে সবচেয়ে কষ্টে আছে শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ মানুষ গুলো। আজ থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অর্ধ্ব বার্ষিক পরীক্ষা। বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকায় সময় মত পড়তে পারছেনা কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। স্কুলে যাওয়া পরও আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে অভিভাবকদের। বিদ্যুত না থাকলে অসহ্য গরমে না জানি তাদের আদরের সোনা মনিদের কোন রকম সমস্যায় পড়তে হয়।এদিকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং ক্রমাগত লোডশেডিংয়ের কারণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলো। বিদ্যুৎ বিভাগের কোন কর্মকর্তা বলতে পারছে না কবে নাগাদ বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে।সবাই একই সুরে বলছেন জ্বালানী( কয়লা) সংকট সমাধান হলেই সংকটের সমাধান হবে। জানা যায় ওমান থেকে কয়লা আমদানীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ওমান থেকে কয়লা আসার সাথে সাথে নাকি বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে।আমার জানামতে গ্রামের সাধারন মানুষের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকে না। তারপরও বিদ্যুতের জন্য তারা কেন কস্ট ভোগ করবে প্রচন্ড তাপদাহ এবং বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিংয়ে গ্রাম এবং শহর মানুষ দিশে হারা। তাছাড়া গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকলেও বিদ্যুৎ বিল আগের তুলনায় অনেক বেশী পরিশোধ করতে হচ্ছে। একে তো প্রচন্ড গরম এবং লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ট তারপর বাড়তি বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে গ্রামের মানুষ প্রায় দিশেহারা।
মন্তব্য