শফিক আর রহমান বিশেষ প্রতিনিধি কক্সবাজার>>>কক্সবাজারের হোটেল মোটেল জোন সহ বিভিন্ন স্হান থেকে পুলিশ সুপার ও টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ সহ ডিবি পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে রাশেল খন্দকার নামক এক প্রতারককে আটক করেছে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ।২১ ফেব্রুয়ারী (মঙ্গলবার) রাতে কক্সবাজার পৌরসভার লাইটহাউজ পাড়ার কটেজ জোন থেকে আটক করা হয়েছে।একাধিক কটেজ মালিক জানান ,রাশেল খন্দকার দীর্ঘদিন পুলিশের সোর্স পরিচয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি ও অর্থ আদায় করে আসছিল।কখনও নিজেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর লোক, কখনো এসপির সোর্স,কখনওবা টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ এর সোর্স আবার কখনো ডিবি’র সোর্স পরিচয় দিয়ে প্রতিটি কটেজ মালিকের কাছ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। রাশেল খন্দকার এভাবে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।জানা যায়,রাশেল খন্দকার নামক এক প্রতারক দীর্ঘদিন ধরে কটেজ জোন সহ বিভিন্ন স্হানে গিয়ে নিজেকে পুলিশের সোর্স কিংবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছের লোক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করছে। সে প্রায় সময় মদ পান করে মাতাল হয়ে হোটেল মোটেল জোনে মাতলামি ও আগত পর্যটকদের হয়রানি সহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে।তার ভয়ে কেউ মুখখোলার সাহস পাইনা,কারণ সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছের লোক ও পুলিশ সুপারের বিশ্বস্ত সোর্স।এভাবে সে দিনেরপর দিন হোটেল মালিক ও পর্যটকদের হয়রানি সহ ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।এই রাশেল খন্দকার কিছুদিন আগে চকরিয়া প্রেসক্লাবের এক সাংবাদিককে হুমকি দেয়ার কারণে পুলিশ তাকে আটক করে।পরে বিভিন্ন লোকের সুপারিশের কারণে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কটেজ মালিক জানান,রাশেল খন্দকার কখনো নিজেকে পুলিশ সুপারের সোর্স আবার কখনো ডিবি পুলিশ সহ টুরিস্ট পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে প্রতিটি কটেজ থেকে প্রতিদিন টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ কটেজ মালিকরা।কটেজ মালিকরা জানান,এই রাশেল খন্দকার নিজেকে পুলিশের সোর্স কিংবা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’র কাছের লোক পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতিটি কটেজ থেকে সাপ্তাহিক টাকা তুলে।কেউ টাকা দিতে দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার কটেজে পুলিশ ঢুকিয়ে দেয়া মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে থাকে বলে,কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রকিবুজ্জামান জানান।
মন্তব্য