স্পোর্টস ডেস্ক>>> ১৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার একটা সময়ে দরকার ছিল ৬ বলে ১৬ রান।লং অফে হার্দিক পান্ডিয়ার ফুলটস বল উড়িয়ে মারলেন ডেভিড মিলার।কিন্তু সেটা সীমানার কাছ থেকে তালুবন্দি করেন সূর্যকুমার যাদব।নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দড়ির বাইরেও চলে যেতে হয় তাকে,এ সময়টায় শূন্যে বল উড়ছিল।পরে সেটি আবার ধরেন সূর্যকুমার।টিভি রিভিউ দেখে আউট দেন রিচার্ড কেটলবরো।মিলার আউট হতেই মোটামুটি আশা শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার।কেননা পরের ৫ বলে আর ৮ রান করতে সক্ষম হয় দলটি।ম্যাচ শেষে সেই ক্যাচটি নিয়ে অবশ্য কিছুটা বিতর্কও উঠেছে।তৃতীয় আম্পায়ার রিপ্লে দেখেই চূড়ান্ত আউটের সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন।তবে এসব ক্যাচের ক্ষেত্রে সামনের অ্যাঙ্গেল থেকেও রিপ্লে দেখা হয়।তবে এদিন সেটি করা হয়নি।সেই ক্যাচটি নিয়ে অবশ্য প্রথমেই আঙুল উঁচিয়ে সূর্যকুমার যাদব বলে দেন,ক্যাচটি সফলভাবে ধরেছেন তিনি।গুরুত্বপূর্ণ সেই ক্যাচেই ১১ বছরের শিরোপাখরার পথ সুগম হয় ভারতের।ক্যাচটি নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সূর্যকুমার বলেন,‘আমি জানি না আমার মনে কী চলছিল।আমি শুধু দেখছিলাম,বিশ্বকাপ উড়ে যাচ্ছে এবং আমি কেবল এটি ধরলাম।’ ম্যাচের পর ফাইনালের সেরা ফিল্ডারের মেডেল সূর্যকুমারের গলায় পরিয়ে দেন বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ।সূর্যকুমারের দুর্দান্ত এই ক্যাচ নিয়ে ভারতের ফিল্ডিং কোচ বলেন,‘যদি আপনি সূর্যর ক্যাচ সম্পর্কে প্রশ্ন করেন,সে অনুশীলনের সময় এরকম ৫০টি ক্যাচও ধরতে পারবে।কিন্তু একটি ম্যাচে যখন সেই মুহূর্ত আসে,এটি তার সিদ্ধান্ত,দড়ি কোথায় আছে এ ব্যাপারে সচেতনতা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
মন্তব্য