সরদার বাদশা নিজস্ব প্রতিবেদক
ছেলের শশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে ১ জোড়া স্বর্নের কানের দুল চুরি করে নিয়ে গেছে এমন অভিযোগ এক মায়ের বিরুদ্ধে । অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, খুলনা ডুমুরিয়া থানার কুকিয়ার মোঃ সাইদুল শেখের স্ত্রীর শারবানু বেগম (৫০) গত ২০ অক্টোবর ৫ আনা ৩ রতি ওজনের ১জোড় স্বর্নের কানের দুল চুরি করে নিয়ে যায় গৌরিঘোনার মোঃ খোরশেদ মোল্ল্যার বাড়ি থেকে । সম্পর্কে মোঃ খোরশেদ মোল্ল্যা অভিযুক্তের বেয়াই হয়। যার আনুমানিক মুল্য ৩৫৩৫০ টাকা ।অভিযোগকারি সালমা খাতুন বলেন, তারা স্বামী- স্ত্রী দুজনে মিলে যশোর কেশবপুরের গৌরিঘোনায় মোঃ খোরশেদ মোল্ল্যা বাড়িতে বেড়াতে আসে ।ঐদিন খোরশেদ মোল্ল্যার বাড়িতে তার মেয়ে মোছাঃ সালমা খাতুন (৩৫) তার মেয়ে রুপালি বোগম ( ২০)ও বেড়াতে আসে। রুপালি বেগমের এক জোড়া কানের দুল তার মা সালমা খাতুনের নিকট খুলে দেয় রাখতে। তার মা সালমা খাতুন সাইটব্যাগে একটা পলিথিনে জড়িয়ে আলনার উপর ঝুলিয়ে রেখে দেয়।এক পর্যায়ে শারবানু বেগম (৫০) ঘরের ভিতরে ঢুকে কাপড় চোপড় উল্টাতে থাকে এমন টা দেখতে পাই সালমা খাতুন। আত্বীয়তার খাতিরে তাকে কিছু জিজ্ঞেস করি না বলে তিনি জানান। পরবর্তীতে দুপুরে খাওয়া এর পরে শারবানু বেগম (৫০) ও স্বামী সাইদুল শেখ কাওকে কিছু না বলে তড়িঘড়ি করে চলে যায় । বিকাল বেলা সালমা খাতুন বাড়ির উদ্যেশ্য রওনা হওয়ার সময় গোছাতে গিয়ে দেখতে পায় তার সাইটব্যাগে কানের দুল জোড়া নাই। অনেক খোজাখুজির পরে শারবানু বেগমের ফোনে কল করলে তার ফোনের সুইচ বন্ধ পাওয়া যায়। তার বাড়িতে যেয়ে জিজ্ঞেস করলে সে প্রথমে অস্বীকার করে এবং বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি সহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে আরো বলে তোর বোন আমার ছেলের ঘর কিভাবে করে দেখে নিব । অনেক অনুরোধ পরে বলে আমি নিয়েছি । সে স্ব ইচ্ছায় আবারও বেড়াতে আসে এবং বলে আমি সে স্বর্নের দুল ভেঙ্গে ফেলেছি। আমি এর পরিবর্তে নগদ টাকা দিয়ে দিচ্ছি এবং আমার ছেলে ও ভাইকে টাকা নিয়ে আসতে বলছি। আজ আসবে কাল আসবে বলে ২/৩ দিন থাকে মোঃ খোরশেদ মোল্ল্যার বাড়িতে। ছেলে মনিরুল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা আসে না।কানের দুল জোড়া উদ্ধার না হওয়ায় উপায়ন্তর না পেয়ে সালমা খাতুন কেশবপুর থানায় একটা লিখিত অভিযোগ করেছি বলে জানা যায় ।এ বিষয়ে শারবানু বেগমের কাছে জানতে চায়লে, স্বীকার করে বলেন, তা ভেঙ্গে ফেলেছি এবং বলে আমার ছেলে মনিরুলের কাছে টাকা রেখেছি তাকে বলছি টাকা নিয়ে আসতে ও সাথে আমার মোঃ জহিরুল আসছে টাকা নিলে টাকা দিবো না নিলে চুকনগর থেকে কানের দুল তৈরি করে দিবো।এ বিষয়ে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগের সত্যতা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য