১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
চট্টগ্রামে পরিত্যক্ত ঝোপ থেকে অস্ত্র ও কার্তুজ মোংলায় প্রবাসীর জায়গা দখল, লুটপাট ও দোকানে তালা  মোংলায় ভিটিআরটি ও বাঘ বন্ধু দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত জামালখানে চাঞ্চল্য: আওয়ামী নেতা খন্দকার মানিক গ্রেপ্তার ছোট ভাইয়ের কব্জি কেটে দিলো বড় ভাই বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ। চাটখিলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিজম চিকিৎসায় ফ্রি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প রাজশাহীর মোহনপুরে অটোরিক্সা থেকে ফেন্সিডিল উদ্ধার  রাজশাহীতে অভিনব কায়দায় গাঁজা বহনকালে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার মালদ্বীপে এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিট ২০২৫ অ্যাওয়ার্ড পেলেন সাংবাদিক ইমরুল কাওসার ইমন ও মুজাহিদুল ইসলাম জাবের। রাজশাহীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই কিশোর নিহত
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য
  • কিচক ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া মিলেনা সেবা দৌরাত্ম্যে পিয়ন মোস্তা
  • কিচক ভূমি অফিসে ঘুষ ছাড়া মিলেনা সেবা দৌরাত্ম্যে পিয়ন মোস্তা

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    রবিউল ইসলাম ক্রাইম রিপোর্টার >>> বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়ন ভূমি অফিসে প্রকাশ্যে চলছে ঘুষ লেনদেন। অফিসের পিয়ন মোস্তফার মাধ্যমেই মূলত এই অবৈধ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং বাধ্য হয়ে পিয়নের হাতে টাকা তুলে দিচ্ছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভূমি অফিসের বিভিন্ন কাজের জন্য নির্ধারিত সরকারি ফির বাইরেও অতিরিক্ত অর্থ দাবি করছেন পিয়ন মোস্তা খাজনা দাখিল, নামজারি, জমির পর্চা তোলাসহ যেকোনো ধরনের সেবার জন্য তাকে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা না দিলে কাজ আটকে থাকে। দিনের পর দিন ঘুরেও কোনো সুরাহা না পেয়ে অবশেষে ভুক্তভোগীরা পিয়নের চাহিদা মেটাতে বাধ্য হচ্ছেন। কিচক বেলাই গ্রামের তাহমিনা অনলাইনে খাজনা দেওয়ার পর ভুমি অফিসে সেবা নিতে গেলে টাকা না দিলে পিয়ন মোস্তা তার কাগজ পত্র ফেলে দেয়। শোলাগাড়ী গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান বলেন, জমি খারিজ করার জন্য ভুমি অফিসে যায় তখন পিয়ন মোস্তা কন্টাক্ট করে ১৭ হাজার টাকা নেয়। দীর্ঘ দিন অপেক্ষার পর নামজারি না হওয়া টাকা ফেরত চাইলে তালবাহানা শুরু করে। পরে এলাকার লোকজন চাপে ৭ হাজার টাকা ফেরত দেয়। ভুক্তভোগী লুৎফর রহমান দুর্নীতিবাজ পিয়নের বিচার দাবি করেন। কিচক বাজারের এক পল্লী চিকিৎসক বলেন, নামজারি ও দলিল তোলার জন্য দালাল হান্নান ও পিয়ন মোস্তা মিলে ৩৬ হাজার টাকা নেয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, পিয়ন মোস্তা সাহেবর বাড়ী একই এলাকায় হওয়ায় সে প্রভাব খাটিয়ে টাকা ইনকাম মাধ্যম বানিয়ে ফেলেছে কিচক ইউনিয়ন ভুমি অফিসকে। সামান্য একটি কাজ করে নিতেও মোস্তাকে দিতে হয় ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্। টাকা না দিলে ফাইলের পাতাও উল্টানো হয় না। অফিসের অন্য কর্মচারীরাও এই বিষয়ে অবগত থাকলেও রহস্যজনক কারণে তারা নীরব ভূমিকা পালন করছেন।ভুক্তভোগীরা আরও জানান, ভূমি অফিসের পিয়ন মোস্তা একাই অফিসের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং নিজের খেয়ালখুশি মতো টাকা আদায় করছেন। এতে করে সাধারণ মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং চরম আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত পিয়ন মোস্তাফিজার রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সে এবিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।এবিষয়ে স্থানীয় কিচক ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন বলেন, দুর্নীতি কোন স্থান নাই। সে দুর্নীতি করে থাকলে প্রশাসন তার ব্যবস্থা নিবে।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page