নিউজ ডেক্স >>> চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কর্ণফুলী থানায় গত সাত মাসে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ৩৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ৪২,৭৪৮ পিস ইয়াবা, ৬৫৭ লিটার চোলাই মদ এবং ৫ কেজি ২৭৩ গ্রাম গাঁজা। এই অভিযানটি দেশের সকল থানায় পুলিশের বিশেষ তৎপরতা “অপারেশন ডেভিল হান্ট”-এর অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়েছে।থানা সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, সংঘবদ্ধ অপরাধ ও নাশকতার আশঙ্কা মোকাবেলায় সরকার এই বিশেষ অভিযান শুরু করে। কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরিফ যোগদানের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে অভিযান পরিচালনা করছেন। অভিযানের মধ্যে “অপারেশন ডেভিল হান্ট”-এর আওতায় ২৫৩ জন এবং অন্যান্য মামলায় ৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।পুলিশের তথ্যমতে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে অনেকে চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং একাধিক মামলার আসামি। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক সহিংসতা সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। ধাপে ধাপে এসব আসামির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে।স্থানীয় সূত্র জানায়, কর্ণফুলী থানা এলাকায় অতীতে রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একাধিক সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটেছিল। এসব ঘটনায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ছিলেন। তবে ওসি শরিফের নেতৃত্বে টানা অভিযানের ফলে অপরাধী চক্রগুলোর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, ফলে বর্তমানে এলাকাজুড়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে।স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অভিযানের পর এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ও নিরাপত্তাবোধ বেড়েছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সক্রিয় অপরাধীরা এখন গা-ঢাকা দিয়েছে, এবং রাতেও মানুষ নিরাপদে চলাচল করতে পারছে।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সামনে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান ও রাজনৈতিক কর্মসূচি ঘিরে যেকোনো ধরনের নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরিফ বলেন, কর্ণফুলী থানায় যোগদানের পর থেকেই আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বদ্ধপরিকর ছিলাম। ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর মাধ্যমে অপরাধী ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় গত সাত মাসে কর্ণফুলী থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি।তিনি আরও বলেন, অভিযানে থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা শাখা, সিএমপি সদর দপ্তরের বিশেষ টিম এবং স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা পেয়েছি। আমরা চাই কর্ণফুলীকে একটি অপরাধমুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ মডেল থানা হিসেবে গড়ে তুলতে। এজন্য সবার সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন।
মন্তব্য