আনোয়ার হোসেন-কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী)প্রতিনিধি>> নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের প্রধান ক্যানেলের বাঁধ সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।নিয়মের তোয়াক্কা না করে ক্যানেলের বাঁধ সংলগ্ন অ্যাকোয়ারের জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে গর্ত করে সে মাটি বাঁধে দিচ্ছে।এতে আবাদি জমি নষ্ট হওয়ায় ও বাঁধ ধসে পড়ার আশঙ্কায় কৃষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।সরজমিনে জানা যায়,জলঢাকার ধুন্দিবাড়ি থেকে কিশোরগঞ্জের চেংমারী স্লুইসগেট পর্যন্ত ওই সেচ ক্যানেলের দুটি বাঁধ সংস্কারের টেন্ডার হয়।পটুয়াখালীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিজানুর আলম (জেভি) সাত কোটি ৯৩ লাখ টাকা চুক্তিমূল্যে কাজ পায়।বাইরের মাটি এনে বাঁধ ভরাটের নিয়ম উপেক্ষা করে ভেকু দিয়ে ক্যানেল সংলগ্ন জমিতে গর্ত করে সে মাটি বাঁধে দেওয়া হচ্ছে।বাজেডুমরিয়া গ্রামের কৃষক সফিয়ার, কফিল ও সাহাবুদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,এসও-এসডি’র যোগসাজশে ঠিকাদার নিয়মকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে অ্যাকোয়ারের জমির মাটি কাটছেন।খেত নষ্ট করে ভেকু মেশিন দিয়ে ক্যানেল সংলগ্ন অ্যাকোয়ারভুক্ত জমিতে গভীর গর্ত করে সে মাটি বাঁধে দিচ্ছেন।এতে বাঁধ ও জমি ওই গর্তে ধসে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।ঠিকাদার খাদেমুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ভেকু মেশিন দিয়ে ক্যানেল সংলগ্ন জমির মাটি কেটে বাঁধে দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন,‘সাব-ঠিকাদারের নম্বর দিচ্ছি,আপনি কথা বলেন।আমি ব্যস্ত আছি,পরে কথা বলব।নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাবডিভিশনাল কর্মকর্তা (এসডি) জুলফিকার রহমান বলেন,ক্যানেলের বাঁধ সংলগ্ন অ্যাকোয়ারভুক্ত জমির মাটি কেটে বাঁধে দেওয়ার নিয়ম নেই।এসও-ওয়ার্ক এসিস্ট্যান্টের অগোচরে ঠিকাদার এটি করেছেন।অফিসে আসেন সাক্ষাতে কথা হবে।











মন্তব্য