সুুনামগঞ্জ প্রতিনিধি>>> সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের পূর্বকাপনা গ্রামে নিরীহ আব্দুল কাদিরসহ তিনটি পরিবারের বসতবাড়ি ও দোকানপাঠে দলবদ্ধভাবে দুইশতাধিক র্দুবৃত্তদের হামলা, ভাংচুর ও লুটপাঠের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার সকাল ১১টায় ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের আয়োজনে পূর্বকাপনা গ্রামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এতে শতাধিক নারীপূরুষ অংশগ্রহন করেন।মাানববন্ধনে ভূক্তভোগীরা কান্নাজড়িক কণ্ঠে জানান, তারা আওয়ামীলীগের কর্মী হওয়ার কারণে গত ৫ই আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের ফলে রাত ৮টা ও রাত ১২ টায় দু”দফা একই গ্রামের বেশ কিছু র্দুবৃত্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় ও দাড়াঁলো অস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িঘর ও দোকানপাঠে হামলা,ভাংচুর করে নারীদেরকে ও শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে আব্দুল কাদিরের বাড়ি হতে ৩ ভরি স্বর্ণালংকার,ব্যবসার নগদ ৭ লাখ টাকা এবং বসতঘরের আরো ৩ লাখ টাকার আসবাবপত্র ধবংস ও লুটপাঠ করে নিয়ে যায়।এছাড়াও দক্ষিন কাপনা গ্রামের আনোয়ার হোসেন সবুজ ও সাইফুল ইসলাম এই দুইটি পরিবারের বসতবাড়ি ও দোকানপাঠে পৃথকভাবে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় হামলাকারীরা আনোয়ার হোসেন সবুজের ঘর থেকে দেড়ভরি স্বর্ণালংকার,নগদ ৫ লাখ টাকা এবং ১০ লাখ টাকার মালামাল তছনছ করে লুট করে নিয়ে যায় এবং সাইফুল ইসলামের বাড়িতে ভাংচুর করে দেড়ভরি স্বর্ণালংকার,৮ বস্তা ধান, নগদ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলার শিকার এই তিনটি পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে জানান।তারা হামলাকারীদের নাম ঠিকানা জানার পরও ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। এই হামলার ঘটনার সাথে কোন শিক্ষার্থী জড়িত নয় বলে ভূক্তভোগীরা জানান।তবে এই হামলার ঘটনার সাথে কে বা কারা জড়িত আছেন অবিলম্বে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন বিষয়টি তদন্ত করলে হামলাকারীর নাম ঠিকানা পেয়ে যাবেন এবং দ্রুুত গ্রেফতার করে তাদেরকে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবী জানান।ক্ষতিগ্রস্থ মোঃ আব্দুল কাদির পূর্বকাপনা গ্রামের মোঃ আব্দুল হামিদের ছেলে এবং আনোয়ার হোসেন সবুজ দক্ষিণ কাপনা গ্রামের মৃত তৈয়বুরের ছেলে এবং একই গ্রামের মৃত মুক্তার হোসেনের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম।মানববন্ধনে এ সময় বক্তব্যে রাখেন ভূক্তভোগী মোঃ আব্দুল কাদির,তার মাতা আম্বিয়া খাতুন,ইদ্রিছ আলী,মোঃ হেলাল উদ্দিন,মোঃ আনোয়ার হোসেন সবুজ,মোঃ সাইফুল ইসলাম,হেলাল উদ্দিন,মোঃ ফয়জুর রহমান,মানিক মিয়া,শাহ আলম,মোঃ হারুণ মিয়া ও মোঃ নুর ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য