আমি কোন সামরিক বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষক নয় তবু সম্প্রতি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে দেড়মাসের অধিক গাজা উপত্যকায় আকাশ ও স্থল পথে ইসরায়েলি বাহিনীর উপর্যুপরি বিমান হামলায় নারী শিশু বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষ নিধনের বর্বরোচিত ধ্বংসযজ্ঞ দেখে যেকোন মানুষ তার দুঃখ কষ্ট ব্যাথা সর্বোপরি মানবতাকে দমিয়ে রাখা কঠিন, আমার মতে এই যুদ্ধে হামাস তাদের সৈনিক সূলভ আচরণ বজায় রেখে সামরিক কূটকৌশলসহ নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে যে সৈনিক সূলভ কৌশল ও দক্ষতার প্রমাণ রাখতে পেরেছেন ইহা তুলনামূলক পবিত্র আল কোরানের মান নীতি নির্দেশ অনুকরণে সমরে অকুতোভয় বীরের মর্যাদা লাভে পৃথিবীর কাছে এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ইহা নিশ্চয় ইসলামের জন্য সুবার্তা।
গাজার মাটিতে প্রায় চল্লিশ হাজার টন বোমা মেরেও হামাস পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি যারা হামাসের মুখোমুখি হয়েছে দূর্ভাগ্যবশত তারা জিন্দা ফিরতে পারেনি ইসরায়েলের মাটিতে।
অপরদিকে বন্দি বিনিময়ে পর বন্দীদের সাথে হামাসের মানবতার যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হলেন উহাতে হামাস যোদ্ধাদের আচরণ ও মানবতার প্রতি পৃথিবীর মানুষ অবাক হয়ে ধন্যবাদ ও প্রশংসা জানিয়েছেন।
অথচ এই স্বাধীনতাকামী হামাসের ফিলিস্তিন সুদীর্ঘ পচাত্তর বছর যাবৎ ইসরায়েল আমেরিকা ও পশ্চিমাদের নজরে অসহায় ফিলিস্তিনিদের লাঠির প্রতিবাদের জন্য জঙ্গি গোষ্ঠীর কালিমা বহন করে আসছিলেন।
সম্প্রতি হামাস ইসরায়েলের মধ্যে উনপঞ্চাশ দিনের যুদ্ধে ফিলিস্তিনের হামাসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গোটা পৃথিবী অপর দিকে উপহাসের পাত্র ইসরায়েল।
মনুষ্য মানবতা ও মহানুভবতার নতুন ইতিহাস গড়লেন ফিলিস্তিনের বীরযোদ্ধারা।
কোরআন হাদিসের অনুকরণ অনুধাবন ও ইসলামের আদর্শে পরিচালিত ফিলিস্তিনের এই বিজয় বিশ্ব স্বীকৃত ও সমাদৃত বলে মনে করি।
শিশু কিশোর আবাল বৃদ্ধ বনিতাসহ প্রায় পনের হাজার শহীদের রক্তের সয়লাব ফিলিস্তিনের উপর ইসরায়েলি বর্বরতার দৃশ্য পৃথিবীর মানুষ ঘৃণাভরে লক্ষ্য করেছেন,
মানুষ বুঝতে পেরেছেন ইসরায়েল কত বড় জঘন্য কাপুরুষের দল।
অবশেষে বন্দি বিনিময়ের শেষ যুক্তিতে প্রাণে পালিয়েছে নতুবা দখলদার ইসরায়েলিরা গাজা উপত্যকা থেকে দেশে ফেরার সম্ভবনা আদৌও থাকতো কিনা সন্দেহ।
চাকচিক্য পোশাক আশাক ও কামানের ভারী গোলা বারুদ,অত্যাধুনিক ট্যাংক লড়ী যুদ্ধ জাহাজ দ্বারা সুসজ্জিত ইংলিশ সিনেমা নাটকের সৈনিকের মতো তাদের সমস্ত হীন
কায্যকলাপ বিশ্ব মহলে আয়নার মত পরিস্কার হয়েছে।
একজন হাসাস যোদ্ধা হতে যেখানে পচাত্তর বছর ধরে ইসরায়েলের নিঃসংশতার রোষে প্রাণ জড়াতে হয়,সে জায়গায় মাত্র ছয়মাস অনুশীলন করে ইসরায়েল সেনাবাহিনীতে কোম্পানি কমান্ডারের ব্যাচ কাঁধে ঝুলে,এত বড় অপয়া অথর্ব দুর্বল অযোগ্য ইসরায়েলের মিলিটারি ক্যাম্প,এই হলো লক্ষ্যাধিক ইসরায়েলি সৈনিকের কাগজে কলমে ধুঁকা বাজির হিসাব নিকাশ।
হিংসুটে জাতির মধ্যে ইসরায়েলের চেয়ে জঘন্য পৃথিবীতে আর কোন নাই,তারা স্রষ্টা ও মানবতার কলংক।
প্রচন্ড অহমিকা দাম্ভিকতা নেমক অহংকারী জাতি গোষ্ঠীর সমীক্ষাতে এই ইসরায়েলিরাই এগিয়ে থাকবে নিশ্চিত তাদের কাছে স্বভাব উদ্দেশ্যের মাঝে পশুত্ব ও ধ্বংসযজ্ঞ ছাড়া উত্তম কিছুই বিশ্বের মানুষ দেখতে পায়নি।
পদে পদে বাঁধার সম্মুখীন হয়ে নাকানি চুবানিতে একেবারে নাস্তানাবুদ অবস্থা ইসরায়েলি বাহিনী।
মৃত্যুর ভয়ে নতজানু ও কপোকাত খুব ভঙ্গুর মানসিক অবস্থা,ইহার যাবতীয় গোপন কথার তিক্ত অভিজ্ঞতা ইসরায়েলি সন্যদের মুখ থেকে আস্তে ধীরে বের হয়ে আসতে শুরু হয়েছে।
যুদ্ধের ময়দান ফেলে পালিয়ে গেছে বহু ইসরায়েলি বাহিনী,আল কাসেম বিগ্রেডের রণকৌশলের তৎপরতা থেকে রেহাই পেতে পালানো সৈনিকের মাঝে বড় পদবীর অফিসার কমান্ডাররা রয়েছে বলে খবরে প্রকাশ।
এই যুদ্ধে ইহুদিদের যে বদনাম অপকীর্তি কলংক কালিমা ইসরায়েল রাষ্ট্রের আষ্টেপৃষ্টে লেগেছে তাহা কোন কালেই আর কেটে উঠতে পারবে বলে মনে হয়না।
উনপঞ্চাশ দিনের যুদ্ধে অপকর্ম ব্যতিত আর কোন অর্জন এই যুদ্ধে ইসরায়েলিদের জন্য আপাতত নেই
যুদ্ধে বিরতির উছিলায় এই পলায়ন থেকে পূনরায় গাজায় ফেরার শক্তি সামর্থ জনপ্রিয় সবকিছু হারিয়ে নেতা নেয়াহু বিপন্ন প্রায়,
অন্তত মানচিত্র কিভাবে রক্ষা করা যায় ইসরায়েলের এটিই এখন করণীয় বিষয়।
কবি শাহাদাত হোসেন তালুকদার
সাহিত্য সম্পাদক
বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন।











মন্তব্য