২৩শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পাশে ডিসি জাহিদুল সিআরএ সম্মাননা পেলেন আরজেএফ চেয়ারম্যান এস এম. জহিরুল ইসলাম সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী এড. নুরুল ইসলাম নুরুলের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরন নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত রাজশাহীতে নৈশ প্রহরীদের বেঁধে হিমাগারে ডাকাতি জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটরের সঙ্গে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত পিরোজপুর-২ আসনে যোগ্য প্রার্থী চেয়ে নেছারাবাদে মশাল মিছিল আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাতে আরসা-আরএসও, এপারে আতঙ্ক ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার ইয়াবা উদ্ধার বিজিবির চন্দনাইশ খাঁনহাট বাজারে ব্যবসায়ির দোকানে দুর্ধষ চুরি: থানায় অভিযোগ দায়ের বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের উন্নয়নে সর্বাত্মক কাজ করবে — শামা ওবায়েদ
  • প্রচ্ছদ
  • আন্তর্জাতিক >> সাহিত্য
  • হামাস এর রণকৌশলে ইসরায়েলের চুড়ান্ত পরাজয়ের অপেক্ষা
  • হামাস এর রণকৌশলে ইসরায়েলের চুড়ান্ত পরাজয়ের অপেক্ষা

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    সাহিত্য ডেস্ক >> আমেরিকা বা পশ্চিমারা আদোও কি ইসরায়েলের বন্ধু,তারা কি সত্যিকার অর্থে এই ইহুদিদের মঙ্গলকামী,এই বন্ধুত্ব প্রকৃতই কি শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ও মানবতার কল্যাণে,ইসরায়েল ও ওয়াশিংটনেট মাঝে কোন স্তরের বন্ধুত্ব তার সঠিক সমীকরণ মানুষের এখনো অজানা,আমরা যেটুকু বুঝতে পারি মধ্যেপ্রাচ্যে আশ্রিত দখলদার ইহুদিবাদ শয়তান ইসরায়েলের রাজধানী হচ্ছে ওয়াশিংটন,চারিধারে এত মুসলিম দেশ সমূহকে ইসরায়েল আজ অবধি তার প্রতিবেশী ভাবতে পারেনি কেন ইহার বিশদ বিবরণ রয়েছে ইতিহাসের মোড়ে মোড়ে,আগে না হলেও অন্তত এই মূহুর্তে যুদ্ধবাজ তেল আবিবকে ভাবা উচিৎ যে ওয়াশিংটন সুদূর আমেরিকায় আর আরব মুল্লুকে ঘেরার ভেতর ছোট্ট একটি মাত্র ইহুদী রাষ্ট্রের নাম ইসরায়েল,প্রতিবেশী যিনিই হন সে ই প্রকৃত বন্ধু এই সত্য তারা কখনো অনুধাবন করার জন্য রাজি না।
    ১৯৪২ সালে হিটলারের মরন ফাঁদ থেকে বিতাড়িত এই ইহুদী জাতি আরব ভূমিতে নোঙরের পর এই যাবৎ শান্তি পক্ষে ভুমিকার কোন উদাহরণই ইতিহাসে চোখে পড়ে না।
    জবরদখলে বিশ্বাসী চরম যুদ্ধাদেহি এই ইহুদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের দীর্ঘ ৭৫ বছর আয়ুকালে তাদের চরিত্রে ভদ্রতার কোন নজির আজ পর্যন্ত ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হতে দেখেনি।সময়ের পরিক্রমায় যুক্তরাষ্ট্র এখন ইসরায়েলের অপকর্মের জন্য বিশ্বমানবতার প্রশ্নে পুরোই নতজানু অত্যন্ত কুচক্রী দেশ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে তাতে কোন সন্দেহ নাই।ধর্ম বৈষম্য আর মানবতার দুশমন এ দু’টি দেশ মহাপাপের ভাগী আমেরিকার আসল চরিত্র নতুন প্রজন্ম হারে হারে টের পেতে শুরু করেছে,বিশ্বের সকল রাজনৈতিক মহলে মনে রাখা দরকার আজ পর্যন্ত আমেরিকা দ্বারা বিশ্বের কল্যাণে কোন রূপ সৎ কাজের ইতিহাস নেই,অপর দিকে রাজতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অক্ষত রাখতে গিয়ে আরব রাষ্ট্র গুলো যুগযুগ আমেরিকার পদলেহনের ফলে আরবের বাঘা বাঘা নেতাকে আমেরিকার রক্ত চক্ষুর কাছে ইতিপূর্বে খতম হতে হয়েছে যা আরবের রাজনীতির কাছে আগামী প্রজন্মের প্রশ্ন হয়ে থাকবে।
    আরব নেতাদের মাঝে এই সময়ের ভাবোদয় অনেক বিলম্বে হলেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা পন্থি সংগঠন হামাসের সাথে এবারের ইসরায়েল যুদ্ধে পুরো সমীকরনই যেন মোড় পাল্টে দিল,পাখির মত ঝাঁকঝাক শিশু নারী ও নিরাপরাধ জনগণকে হত্যার জঘন্য অপরাধের মধ্যদিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরব নেতাদের মাঝে মানবতার উপলব্ধি টুকু পৃথিবীকে আস্বস্ত করতে পেরেছে বলে মানুষের ধারণা।
    প্রকৃতার্থে আরবদের এই বুঝ আরও অতীত থেকেই পৃথিবীর মানুষ দেখার অপেক্ষায় ছিলেন।২০১৭ সালে মায়ানমার জান্তা সরকারের অমানবিক নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ যেভাবে মানবিক দৃষ্টিতে আশ্রয় দিয়েছে ঠিক একই ভাবে ১৯৪২ সালে হিটলারের তাড়া খেয়ে আরব ভূখণ্ডে আশ্রিত মেহমান হওয়ার সুযোগে এই ইহুদিবাদ গোষ্ঠী ইসরায়েলিরা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি জনগণের উপর ইসরায়েলের দখলদারিত্বের জন্য পচাত্তর বছর ধরে বর্বরতার শিকার নিরীহদের উপর একক কর্তৃত্ব চাপ প্রয়োগসহ অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও নির্দয় ভাবে ছোট ছোট মাসুম দুগ্ধ শিশুদের মৃত্যুর সারিতে পুরো আরব ভূখণ্ড গাজার আল আকসা নগরীতে রক্তের সয়লাব বইছে।রাশিয়ার রাজনীতির মাঝে যেই বিশ্বস্ততা ও আস্থার জায়গা রয়েছে সে একই ভাবে আস্থা ও বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কোন দেশই রাখতে পারেনা,বর্তমানে নিরীহ গাজাবাসীর উপর যেই অবর্ণনীয় পশুত্বের আচরন দুনিয়ার মানুষ দেখেছে ইহাতে ইসরায়েল ও আমেরিকাকে কোন মতেই ক্ষমা করার সুযোগ নাই।বর্তমান বিশ্বে উদীয়মান প্রজন্মের বিচারে ওয়াশিংটন খাট গড়ার যোগ্য একটি পরাশক্তির ভুখন্ডের নাম হচ্ছে আমেরিকা।বস বা বড় লোকের একটু কম কথা বলতে হয় যাহা ওয়াশিংটনের পক্ষে আজ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি,মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তাপ্ত বাস্তবতা মোকাবেলার জন্য ভাগ্যবশত ইরান তুরস্ক ও যুবরাজ সালমান সৌদি আরবের শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকার ফজিলত সরূপ চলমান মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে আশাজাগানিয়া একটি ওআইসি সন্মেলনে আরব নেতাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মুসলিম বিশ্বের ভবিষ্যতের জন্য অভূতপূর্ব নেতৃত্ব প্রদান করে একটি পরিপূর্ণ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আরবদের করণীয় উপলব্ধি করতে পারার জন্য এবং ইসরায়েলের সাথে হামাস হুতি ও হিজবুল্লাহর অভাবনীয় সমর কৌশল দেখে বিশ্ব রীতিমতো অবাক হয়েছে।
    এই বীর সেনাদের সাথে সাথে গাজার নিরহ জনগণ এমন কি হাজার হাজার শিশু আবাল বৃদ্ধবনিতার অকাতরে প্রাণ বলিদানের করুণ ও মর্মান্তিক দৃশ্য গুলো বিশ্বের প্রতিটি মানুষ নিরবে অঝোর ধারায় কেঁদেছে এবং বিশ্ব মানবতার এই কান্না খোদার দরবারে কবুল হয়েছে আমিন।
    হামাস সংগঠনের বীরসেনারা নতুন ইতিহাসের বীরত্বের মহানায়ক পরিচিত লাভ করেছে,চিরদিনের জন্য পৃথিবীর কাছে বীরের সন্মানে অধিষ্ঠিত হলেন এই ফিলিস্তিনের সাহসী বীরযোদ্ধারা,অতীতের কোন যুদ্ধ বিদ্রোহে এত ঝাঁকে ঝাঁকে শিশু হত্যার নারকীয় কান্ড পৃথিবীর আর কোথাও নজির নেই।নারকীয় কায়দায় ফিলিস্তিনবাসীর উপর ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ দেখে পৃথিবীর আসমান জমিন পর্যন্ত কেঁদেছে অথচ ওয়াশিংটনের কর্ণধার কথিত বিশ্ব মোড়ল বাই ডেন সাহেবের অন্তর একটুও নাড়া দেয়নি,এখানেই বাই ডেনের কাছে মানবতার পরাজয় প্রকারন্তরে আমেরিকার শতভাগ রাজনৈতিক পরাজয় বলে গন্য।ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী ছোট্ট এই গোষ্ঠী হামাস সেনাদের লাঠিসোটার সামনে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতায় সর্বাধিক আলোচিত যুদ্ধক্ষেত্রের জন্য ইসরায়েলের তৈরি অত্যাধুনিক মারকাভা ট্যাংকের ফাঁদে খুনি নেয়া হুর সৈনিক বেচারাদের মরন দূর্গতির অপরূপ করুণ দৃশ্য বিশ্ববাসি বেজায় রকম উপভোগ করছে।

    কবি শাহাদাত হোসেন তালুকদার
    সাহিত্য সম্পাদক
    বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page