আব্দুল্লাহ আল মারুফ নিজস্ব প্রতিবেদক >>> স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে ডিজিটাল রূপান্তর। ভূমি নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা, সীমানা বিরোধ, হয়রানি ও দালালচক্রের দৌরাত্ম্য কমিয়ে সাধারণ মানুষকে দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য সেবা দিতে কাজ করছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে, বাড়ছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ভূমি সেবা গ্রহণের সুযোগ।উপজেলার ভূমি অফিস ও তহসিল অফিসগুলোতে চালু হওয়া সমন্বিত স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনা সিস্টেমে এখন একটি ক্লিকেই পাওয়া যাচ্ছে জমির মালিকানা, অবস্থা, মামলা রয়েছে কিনা, খাজনা পরিশোধ ও জরিপ সংক্রান্ত ১৭ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ফলে নাগরিকদের এখন আর ভূমি অফিসে দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে না। সেবাপ্রার্থীরা বাড়ি বসেই জানতে পারছেন জমির পূর্ণাঙ্গ তথ্য।এ প্রসঙ্গে সীতাকুণ্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “এই ডিজিটাল সিস্টেমের ফলে ভূমি নিয়ে জটিলতা অনেক কমেছে। সাধারণ মানুষ সহজেই সেবা পাচ্ছেন। মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানের প্রয়োজন কমে গেছে।”তিনি আরও বলেন, “এই উদ্যোগ আমাদের ভূমি সেবাকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক করেছে। ভূমি দখলদার ও দালাল চক্রকে প্রতিহত করতেও এটি কার্যকর ভূমিকা রাখছে।”উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দিন এই সিস্টেম চালু করেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভিপি সেল) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।ভূমি সেবা পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। মুরাদপুর ইউনিয়নের গোপ্তাখালী এলাকার আসপির আকবর বলেন, “আমার চাচার জমির খতিয়ানে করণিক ভুল ছিল। এসিল্যান্ড স্যার অল্প সময়েই তা ঠিক করে দিয়েছেন।”কুমিরা ইউনিয়নের আজগর আলী বলেন, “ভূমি সংক্রান্ত কাগজপত্রের জন্য আগে জেলা অফিসে যেতে হতো। এখন সীতাকুণ্ড ভূমি অফিসেই সব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। আমি খুবই সন্তুষ্ট।”জানা গেছে, চট্টগ্রাম জেলার ১৫টি উপজেলার মধ্যে ভূমি সেবায় সীতাকুণ্ড বর্তমানে শীর্ষস্থানে রয়েছে। ভূমি সেবায় এই উন্নয়নের ফলে গ্রামীণ জনগণের মাঝে সরকার সম্পর্কে আস্থা ও সন্তুষ্টি বেড়েছে।
মন্তব্য