মোঃ নাহিদ উজ্জামান
চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট কর্মসূচির (উপবৃত্তি) আওতায় আসার জন্য কলেজে একাদশ শিক্ষার্থীদের আবেদনের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার শিবগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজের অফিস সহকারী মোঃ আহমদুল ইসলাম ( তপন ) এর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে।সরেজমিনে সাংবাদিকবৃন্দ গেলে অফিস সহকারী মোঃ আহমদুল ইসলাম তপন ২০০ টাকা করে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে , বলেন অনলাইনে কাজ করতে এ খরচ লাগে। এবং বলেন ২০০ টাকা করে গত দুই বছর ধরে নেওয়া হয়। এবং আরো বলেন উপবৃত্তি আবেদনের সকল কাগজ পত্র অধ্যক্ষ মোহাঃ নুরুল ইসলাম স্যারকে দিলে তা বাইরের কম্পিউটার দোকানে কাজ করেন। এ বিষয়ে আরো কিছু জানতে চাইলে অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেন।এ বিষয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না।টাকা নেওয়ার যুক্তি হিসেবে জানতে চাইলে অফিস সহকারী মোসাঃ নার্গিস ও মোঃ আহমদুল ইসলাম তপন জানান, অনলাইনে কাজ করতে এ খরচ লাগে। তাছাও আবার খাবার খরচ আছে।এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মোহাঃ নুরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। সেখানে তিনি (অফিস সহকারী) কেন টাকা চেয়েছেন তা খতিয়ে দেখা হবে।’কলেজ সূত্রে জানা গেছে, এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৩১৫ জন শিক্ষার্থী।নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘উপবৃত্তির জন্য কলেজে আবেদন করেছি। এ জন্য অফিস সহকারী দুইশত টাকা দাবি করেন। কলেজে টাকা না দিলে নাকি আমাদের উপবৃত্তির আবেদন জমা নিবে না।নাম প্রকাশ না করে এক অভিভাবক বলেন, ‘উপবৃত্তি গরিব শিক্ষার্থীদের জন্য। এটা পেতে তো কোনো টাকা লাগার কথা নয়। আর যদিও অনলাইন খরচ লাগে তাহলে সর্বচ্য ৫০ টাকা লাগবে,এর বেশি লাগার কথা না।এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, উপবৃত্তির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এক টাকা নেওয়ারও বিধান নেই।কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে উপবৃত্তি করে দেওয়ার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য