মোঃআল-আমিন হোসেন, রাজশাহী >>>রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেটওয়ার্কের কর্মসূচি শেষে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে গোয়েন্দা পুলিশের তুলে নেওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে পুলিশের ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়েছে। এতে ক্যাম্পাসে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ধস্তাধস্তির মধ্যে দুই শিক্ষার্থীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেছে শিক্ষকরা।পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
সেই কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী রাবির শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে জড় হয়। তারপর সেখান থেকে মুখে লাল কাপড় বেঁধে একটি মৌন মিছিল শুরু করেন শিক্ষকরা। এতে অংশ নেন রাজশাহীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
প্রায় ঘণ্টাখানেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে এসে মৌন মিছিল শেষ হয়। মৌন মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ত্যাগ করার সময় সাদা পোশাকের অস্ত্রধারী কয়েকজন শিক্ষাথীদের তুলে নেওয়ার চেষ্টাকালে ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
এঘটনার বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি করেছি। হঠাৎই সাদা পোশাকে ডিবির একটা টিম ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের তুলে নেওয়ার জন্য টানাহেঁচড়া শুরু করে। পরে আমরা বাধা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়েছি। তবে জানতে পেরেছি দুইজন শিক্ষার্থীকে তারা নিয়ে গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও বলা আছে। বিষয়টি নিশ্চিত হলে আমরা তাদেরও ছড়িয়ে আনব।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছু বহিরাগতও ঢুকে থাকতে পারে। তাদের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্যাম্পাসে ঢুকেছিল। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। দুইজনকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অফিসিয়ালি নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের ছাড়ানোর পদক্ষেপ নেব।
পরে শিক্ষার্থীদের চিৎকার সেখানে শিক্ষকরা উপস্থিত হয়ে ছাত্রদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে সাদা পোশাকের পুলিশের ব্যাপক ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে তারা তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।
আরএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষকরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছিলেন। এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থী পুলিশের ওপর আক্রমণ করলে পুলিশ তাদের থামাতে চেষ্টা করে।
মন্তব্য