মো: সিজার হোসেন জেলা ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি (রাজশাহী>>> লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা।তিন লক্ষ মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ স্বাধীনতা।দীর্ঘ ৯ মাস সংগ্রামের পর নিশ্চিত পরাজয় যেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর আলবদর আল-শামসরা মিলে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই দিনে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল।বুদ্ধিজীবি হত্যার ঠিক দুই দিন পড় ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্নসমর্পন করে এবং বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অদ্ভুদয় ঘটে। পাকিস্তানীরা বাংলাদেশকে মেধা শুন্য করতেই সেদিন বাংলা মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছিল।আজ ১৪ই ডিসেম্বর ২০২৪ শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষে শনিবার রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সকাল সাড়ে ১০ টায় পুঠিয়া উপজেলা চত্বরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।উক্ত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণে’উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুঠিয়ার রাজশাহী এ,কে,এম নুর হোসেন নির্ঝর নেতৃত্বে বীর মুক্তিযুদ্ধোগণ, পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন,ভূমি অফিসার দেবাশীষ বর্সাক ও পুঠিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি’র দুই বারের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক নজরুল ইসলাম,ও পুঠিয়া পৌর,সাবেক মেয়র মোঃ আল মামুন খান সহ আরো অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন,ও পুঠিয়া উপজেলা শাখা সহ পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভায় পুঠিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এ,কে,এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য চক্রান্ত করেছিল। তারা তাদের এ-দেশীয় দোসরদের নিয়ে শিক্ষক,বিজ্ঞানী,সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী,আইনজীবী,ক্রীড়াবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ দেশের বহু কৃতী সন্তানকে হত্যা করে।বিশেষ করে ১৪ ডিসেম্বর তারা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়।এবং তারা দেশকে মেধাশূন্য করার এক নীল নকশা আঁকে।তিনি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ধারা অব্যাহত রেখে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
মন্তব্য