২২শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনে রূপান্তর আমাদের প্রাণের দাবি — শাহজাহান চৌধুরী  তদন্ত শেষে আগুনের প্রকৃত কারণ জানা যাবে: বেবিচক চেয়ারম্যান পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু নিরাপদ সড়ক দিবসে সুনামগঞ্জের ডিসি ডোপ টেস্ট ছাড়া মিলবে না লাইসেন্স- ড মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বাগাতিপাড়ায় মাদকবিরোধী অভিযান, তিনজনের জেল-জরিমানা নাটোরে বিশেষ অভিযানে সর্বহারা নেতাসহ আওয়ামী লীগের ৫ নেতা–কর্মী গ্রেফতার পাটগ্রামে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে মাস মিডিয়া ক্যাম্পেইন রাজশাহীর পদ্মায় কুমির, নদীতে গোসল না করতে মাইকিং কিশোরগঞ্জে নাগরিক সেবার মান উন্নয়নে গণ-শুনানী অনুষ্ঠিত মালদ্বীপে জনস্বাস্থ্যবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ হাইকমিশনার
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য
  • রাজশাহীর পদ্মায় কুমির, নদীতে গোসল না করতে মাইকিং
  • রাজশাহীর পদ্মায় কুমির, নদীতে গোসল না করতে মাইকিং

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    সোহেল রানা,প্রতিনিধি >>> রাজশাহীর পদ্মা নদীতে একাধিক কুমিরের দেখা মিলেছে। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক একটি কুমিরের ছবি তুলেছেন আলোকচিত্রী দম্পতি ইমরুল কায়েস ও উম্মে খাদিজা ইভা। ছোট কুমির দেখেছেন স্থানীয় জেলেরা। এ অবস্থায় নদীতে গোসল না করতে এলাকাবাসীকে মাইকিং ও লিফলেটের মাধ্যমে সতর্ক করছে রাজশাহী বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পদ্মার ষাটবিঘা চরে পাখির ছবি তুলতে গিয়ে কায়েস দম্পতি কুমিরটির দেখা পান। ড্রোনে ধারণ করা ভিডিও ও ছবিতে স্পষ্টভাবে দেখা যায় কুমিরটি পানির ধারে রোদ পোহাচ্ছে। স্থানীয় রাজু আহাম্মেদ প্রথম কুমিরটি দেখেছিলেন গরু চরাতে গিয়ে। আইইউসিএন জানিয়েছে, ছবিতে দেখা প্রাণীটি মিঠাপানির কুমির, যা বাংলাদেশে বিলুপ্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।আইইউসিএনের মুখ্য গবেষক এ বি এম সারোয়ার আলম জানান, ২০১৫ সালে মিঠাপানির কুমির বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরে পাবনা ও আরও দুটি স্থানে কুমির দেখা যায়, যেগুলো এখন সুন্দরবনের করমজল প্রজননকেন্দ্রে সংরক্ষিত। তিনি ধারণা করছেন, রাজশাহীর কুমিরটি সম্ভবত ভারতের চাম্বুল নদ এলাকা থেকে এসেছে।রাজশাহী বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, স্থানীয় জেলেরা ছোট কুমিরও দেখেছেন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, পদ্মায় একাধিক কুমির রয়েছে। তিনি বলেন, “এগুলো জলজ প্রাণী, জলেই থাকুক। তাদের বিরক্ত করা যাবে না।”এদিকে স্থানীয়দের মধ্যে কেউ কেউ প্রশাসনের কাছে কুমিরটি ধরে নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। তবে আলোকচিত্রী ইমরুল কায়েস চান, কুমিরটি যেন মুক্তভাবে নদীতেই থাকে, যাতে এর প্রজনন সম্ভব হয়। তাঁর আশঙ্কা, আইইউসিএন কুমিরটিকে ধরে নিয়ে যেতে পারে।বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা বিভাগের লিফলেটে বলা হয়েছে, কুমির হিংস্র হলেও তারা জলজ বাস্তুতন্ত্রে ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই কুমির দেখলে বিরক্ত না করা, নদীতে গোসল না করা, শিশুদের নদীর ধারে না পাঠানো, ছোট নৌকা চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখা এবং রোদ পোহানো কুমিরের দিকে ঢিল না ছোড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।লিফলেটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী কুমিরকে বিরক্ত করা, ধরা, হত্যা করা বা বিক্রি করা দণ্ডনীয় অপরাধ। সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page