নুরুল আবছার চৌধুরী চট্টগ্রাম উত্তর>>>কোদালা চা বাগান চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অবস্থিত কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত।অনুসন্ধানে জানা যায়,ব্রিটিশরা কর্ণফুলী নদী দিয়ে যাতায়াত চলমান থাকা সময়ে কোদালায় বিস্তীর্ণ জায়গা দেখে চা বাগান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে আসা যায় ইতিহাসের ব্রিটিশ বাংলো,চা বাগান আর সবুজ বনায়নে ঘেরা অপূর্ব সৌন্দর্যে ভরা রাঙ্গুনিয়ার কোদালা চা বাগান।ওখানে আসলে মুহুর্তের মধ্যে নিজেকে প্রকৃতি ভিতরে মিশে যায়।আবার সাথে লুকোচুরি মেঘের সন্ধির অপুর্ব দৃশ্য যে কাউকে অবাক করে দেয়।এইটা দেশের ১ম চা বাগান। শীর্ষ চা-বাগান গুলোর মধ্যে অন্যতম।উৎপাদন ছাড়াও চা বাগানটি ইতিমধ্যেই বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে পর্যটন র্স্পট হিসেবে।চা বাগানে প্রতি দিন ছুটে আসছে শত শত ভ্রমন পিপাসু।বাগানে পর্যটকদের ভীড়ে মুখরিত হয়ে উঠছে সার্বিক পরিবেশ।পাহাড় বেস্টিত ঘন সবুজে ঘেরা ৪২০০ শত একর জায়গা জুড়ে কোদালা চা বাগানটি অবস্থিত।ওই চা বাগানের সংলগ্নে নিজস্ব গতিতে বয়ে গেছে কর্ণফুলী নদী এ যেন এক অপরূপ দৃশ্য।এ নদীর পাড়ে দাড়ালে মনোরম দৃশ্যে প্রকৃতি সাথে যে কোন মানুষ হারিয়ে যায়।উচু নিচু পাহাড় ঘিরে কোদালা চাবাগানের মনোরম দৃশ্য যে কাউকে আকৃষ্ট করতে পারে।একদিকে পাহাড় ঘেরা সবুজের সাথে মেঘের লুকোচুরির অপূর্ব সন্ধির দৃশ্য অন্যদিকে চা বাগানের পাশ ঘেঁষে লুসাই কন্যা কর্ণফুলীর মন মাতানো ঢেউ যে কাউকে মুহুর্তে সতেজ করে দেবে।স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময়ে এই চা বাগানের মালিকানা পরিবর্তীত হয়।সর্বশেষ২০০৪ সালের ৭ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাক কোদালা চা বাগান লিজ নেয়।গুণগতমান ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোদালা চা-বাগান ব্র্যাক নেওয়ার পর বছরের পর বছর লাভের মুখ দেখে আসছে।গত ২/৩ মাস ধরে বন্য হাতির আক্রমনে কোদালা চা বাগানকে লন্ড ভন্ড করে দেয়।বর্তমানে বাংলাদেশে ১৬২ টি চা বাগানের মধ্যে কোদালা চা বাগান গুণে মানে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করেছে।বাগানে দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তা জানান, শুধুমাত্র চা উৎপাদন নয়,ইতোমধ্যে এই চা বাগানটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে।কোদালা চা বাগান দেখতে দূর-দুরান্ত থেকে অনেকেই প্রতিনিয়ত ভীড় জমাচ্ছে। কোদালা চা বাগান সূত্রে জানা যায়,কোদালা চাবাগানে স্থায়ী শ্রমিকের সংখ্যা ৮শ জন।২শ জন অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করে।সব মিলিয়ে কোদালা চা চট্টগ্রামের অনন্য সৌন্দর্য বহন করে।
মন্তব্য