নিউজ ডেস্ক >>> বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরনে চট্টগ্রামের সচেতন শিক্ষক সমাজের ব্যানারে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আমীর সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী দেশকে স্বৈরাচার মূক্ত করে জাতীর মূক্তি আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বীর শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে আন্দোলনের সকল সীপাহসালারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জাতীর কাংখিত এ অর্জনকে চূড়ান্ত রুপ দিতে শিক্ষক সমাজকে সার্বক্ষনিক সচেতন থেকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার মিশন সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন।
৭ সেপ্টেম্বর’২৪ ইং শনিবার বিকাল ৫ টায় ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া সচেতন শিক্ষক সমাজের উদ্যোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার গণ অভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরনে এক দোয়া মাহফিল ও শিক্ষক সমাবেশ চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া রাহাত্তার পুলস্থ বাকলিয়া সরকারী কলেজের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। বাকলিয়া সচেতন শিক্ষক সমাজের সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোছাইনের সভাপতিত্বে উপদেস্টা ওয়াহিদুল কাদের চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিল ও শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আমীর সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা ওসমান গনি, অধ্যক্ষ্য রুহুল কাদের, চট্টগ্রামের স্বনামধন্য চিকিৎসা সেবা প্রদানকারি প্রতিষ্ঠান পার্কভিউ হসপিটাল লিমিটেড এর চেয়ারম্যান ডাক্তার এ কে এম ফজলুল হক। বাকলিয়া সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন খাঁন, সরকারী হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজের সাবেক অধ্যাপক প্রফেসর নুর নবী, সীতাকুন্ড আলিয়া মাদ্রাসার মোহাদ্দিস মাওঃ সেলিম জাহাঙ্গির। এতে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্র নেতা আব্দুল জাব্বার, অধ্যাপক বুলবুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা অধ্যক্ষ সুলতান আহমদ এবং প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ কামাল হোসাইন, ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্র ফাহিম সাবিত, বিশিষ্ট ব্যাংকার সুলতান এয়াছিন সহ স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহজাহান চৌধুরী আরো বলেন, পৃথিবীর কোন দেশে স্বৈরাচার বেশী দিন টিকে থাকার ইতিহাস নেই। বাংলাদেশে বিগত সাড়ে ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকার দেশের আলেম-ওলামাদেরকে বেইজ্বত করেছে, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রহসনের মামলায় জুডিশিয়েল কিলিং করে শহীদ করা হয়েছে। রাস্ট্রযন্ত্রকে নির্লজ্ব দলীয়করন করে আওয়ামীবিরোধী শিক্ষক সহ সকল পেশাজীবির উপর নির্যাতনের স্টীম রোলার চালানো হয়েছে। জামায়াত সহ বিরোধী রাজনৈতিক নেতা কর্মিদেরকে হত্যা সহ বছরের পর বছর গায়েবী মামলা দিয়ে পরিবার পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। দূর্নীতি, লুটতরাজ ও লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে অর্থ পাচার করে দেশকে পঙ্গু করে ফেলা হয়েছে। মানুষের বাক স্বাধিনতা মৌলিক অধিকার হরন করে মানুষকে গোলামীর শিকল বন্দী করে রাখা হয়েছিল। স্বৈরাচারের এ উদ্ধত্য আল্লাহ আর বেশি দিন সহ্য করেনি, ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনে পিছনের দরজা দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। আল্লাহ জালেমদের এভাবেই বেইজ্বত ও নিগৃহিত করেন, কিন্তু আমরা মানুষ তা বুঝতে পারিনা। আল্লাহ আমাদেরকে যে বিজয় দান করেছেন, তা ধরে রাখতে হলে সকল পেশাজীবি সমাজকে সচেতন থেকে যার যার অবস্থান থেকে ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব পালনে সক্রিয় থাকতে হবে।
সমাবেশে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শত শত শিক্ষকের স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে সফল ও প্রানবন্ত করে তোলে।
মন্তব্য