বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি >>> চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপকুলীয় গন্ডামারায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ ১৩২০ মেগাওয়ার্ট এস.এস.পাওয়ার প্ল্যান্টের পাশে বঙ্গোপসাগরের জেগে উঠা চর এবং ঝাউবাগান কেটে নতুন করে মাটি কাটা ও ভরাট কার্যক্রম চলার অভিযোগ পাওয়া গেছে
অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জামশেদুল আলম ও বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো.ওমর সানী আকনের নেতৃত্বে একদল প্রশাসনিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তারা মাটি কাটার জন্য রাখা চারটি স্কেভেটর জব্দ করে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন এবং মাটিকাটা নিষিদ্ধ করেন।
বাঁশখালীর বৃহৎ লবণ উৎপাদনকারি সমবায় সমিতি গন্ডামারার নেতারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা শুনতেছি কয়লা বিদ্যুতের জেটি করার জন্য বালু উত্তোলন করে মাটি কেটে বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। এখানে মাটি ও বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তারা বলেন,চেয়ারম্যান আমাদের জানায় এটা সরকারি কাজ,সরকারিভাবে বাঁধে বালি দিয়ে ভরাট করলে সবার উপকার হবে। এটা বলাতে সমিতির কোন সদস্য বাধা দেয়নি কিংবা প্রতিবাদ করেনি। পরে এসিল্যান্ড মাটি কাটার খবরে গত বৃহস্পতিবার আসার পর জানতে পারে এ কাজ করার সরকারি কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। ফলে আমরা এটার ব্যাপারে প্রশাসনকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।
এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের সাইট প্রজেক্ট ম্যানেজার ফয়জুর রহমান বলেন, এস এস পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়নিজরা (সুন ফা) ড্রেজড ম্যাটেরিয়ালের ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করার কাজটি পান। তারা স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে এই কাজগুলো করছেন। এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও থার্ড পার্টির বিষয়। যাবতীয় সব কিছুর দায় দায়িত্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের, এখানে এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জামশেদুল আলম স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের জানান,পরিবেশের ক্ষতি হয় এ ধরনের কোন কাজ করতে দেওয়া হবে না। যারা করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।মাটি কাটার কাজে ব্যবহার করা স্কেভেটর গুলো জব্দ করা হয়েছে এবং সকল প্রকাশ কাজ বন্ধ থাকবে বলেও তিনি জানান।











মন্তব্য