১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
চট্টগ্রামে বাঁশখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা: সভাপতি রানা, সম্পাদক রাসেল রাঙ্গুনিয়া আলমশাহপাড়া কামিল মাদরাসা মাদরাসা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলন ও পুনর্মিলনী ১৯ এপ্রিল ৬৬ দফা সংস্কার প্রস্তাবের ১৬টি নিয়ে মতানৈক্য বিএনপির: সালাহউদ্দিন আহমেদ নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কারসহ তিন শর্ত পূরণের দাবি জামায়াত আমিরের টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাহিরপুরের গড়কাটিতে ম’র্মা’ন্তি’ক দু’র্ঘ’ট’না ট্রলি ড্রাইভারের প্রা’ণ’হা’নি উন্নয়ন-বঞ্চিত তিস্তা পাড়ের লালমনিরহাটে চীনের প্রস্তাবিত ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল স্থাপন সময়ের দাবি রাবি সেন্ট্রাল অ্যালামনাইতে স্থায়ী সদস্য সাংবাদিক রাজু মোস্তাফিজ আওয়ামী ডেভিল ইউচুপ সাতকানিয়া থানা পুলিশের জালে আটক একক ভূমি ব্যবস্থাপনা সময়ের দাবি
আন্তর্জাতিক:
চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেইনবো ফাউন্ডেশনের মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নতুন সংকট আরাকান আর্মি! ভারতে অস্ত্র কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ,চরম ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বিপিএলে খুলনাকে হারিয়ে জয়ে ফিরল রাজশাহী বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, মিলান ইতালির আয়োজনে ৫৩ তম মহান বিজয় দিবস উদযাপিত দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি ১০ ডিসেম্বর দামেস্কে ঢুকে পড়েছেন বিদ্রোহীরা,পালিয়েছেন আসাদ বাংলাদেশিদের না পাওয়ায় ধস নেমেছে ভারতের পর্যটন ব্যবসায় কলকাতা মিশনে ভারতীয়দের জন্য ভিসা সীমিত করল বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক তায়কোয়ানদো প্রতিযোগিতায় ভিয়েতনামে যাচ্ছে রাজশাহীর মারিন আশরাফী 
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য
  • বরেন্দ্র অঞ্চলে আমের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা
  • বরেন্দ্র অঞ্চলে আমের ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    সোহেল রানা,তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি >>> রাজশাহীর তানোরসহ প্রচন্ড খরাপ্রবণ বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রায় দু’সপ্তাহ থেকে বয়ে চলছে তাপ-প্রবাহ। এতে বাগানগুলোতে ব্যাপকভাবে আমের গুটি ঝরে পড়ছে। ফলে আমের কাঙ্খিত ফলন নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই আশা-আশঙ্কার মধ্যেই আম চাষিরা আমের গুটি রক্ষায় বাগানে বাড়তি যত্ন নিতে শুরু করেছেন।কৃষি বিভাগ বলছে, তাপপ্রবাহে রাজশাহী অঞ্চলের আমগাছগুলোতে গড়ে ২০ শতাংশ গুটি ঝরে পড়েছে। এই অবস্থ্য আর টানা এক সপ্তাহে চললে বরেন্দ্র অঞ্চলে আমের মুকুল অনুযায়ী এবার ফলন অর্ধেকের নিচে নেমে আসবে। এমনিতেই এবার আমের অনইয়ার চলছে। চলতি মৌসুমে রাজশাহী অঞ্চলের জেলাগুলোতে আমের বাম্পার ফলন হওয়ায় কথা। গত বছর ছিল ‘অফইয়ার’। ফলন ভালো হয়নি। এবার মুকুল আসার পর থেকে কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা পাননি বাগান মালিক ও চাষিরা। দিনের বেলায় রোদের তাপে ঘর থেকে বের হওয়াটাও ঝুঁকির। ঘর থেকে বের হলেই সূর্যের তীব্র তাপ গায়ে আগুনের হলকার মতো বিধে। তাপপ্রবাহে বরেন্দ্র অঞ্চলখ্যাত রাজশাহীর মাঠঘাট-জলাশয় শুকিয়ে যাচ্ছে। বিলগুলো খাঁ খাঁ করছে পানির অভাবে। পাশাপাশি বাতাসের আর্দ্রতা কমেছে। মাটি শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। ফলে আমের গুটি শুকিয়ে যাচ্ছে। পানি সেচ ও কীটনাশক দিয়েও আমের গুটি রক্ষা করা যাচ্ছে না। চাষিরা জানান, রোদের কারণে আমের গুটি ঝরে পড়ে। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে ও তাপপ্রবাহে অনেক বাগানে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ গুটি ঝরে গেছে।রাজশাহীর তানোর উপজেলার আম চাষি নুরুল ইসলাম বলেন, তার ৪টি আম বাগান ইজারা নেয়া আছে। প্রতিটি গাছে এবার আমের মুকুল ভালো এসেছে। গতবারের থেকে আমের গুটিও এসেছে বেশি। কিন্তু রোদ আর গরমে সেই গুটি মারাত্মকভাবে ঝরে পড়ছে। গাছের গোড়ায় পানি ও ওষুধ দিয়েও গুটি ঝরা রোধ করা যাচ্ছে না।রাজশাহীর পবা উপজেলার আমচাষি মাজেদুল ইসলাম বলেন, আমের জন্য এ সময়ে বৃষ্টি খুব প্রয়োজন। বৃষ্টি হলে গুটি ঝড়া বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু সেই বৃষ্টির দেখা নাই। এতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গুটি ঝরছে। আমের ফলনও গতবারের চেয়ে এবার অর্ধেক হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার নামাজ গ্রামের আম চাষি আকবর হোসেন বলেন, তার ছয়টি বাগানে ৯০টি আমের বড় গাছ আছে। প্রতিটি গাছে এবার আমের মুকুল ভালো এসেছে। ফলে গতবারের চেয়ে আমের গুটিও এসেছে ভালো। কিন্তু রোদ আর গরমে সেই গুটিও ব্যাপক হারে ঝরে পড়ছে। গাছের গোড়ায় পানি ও সেচ দিয়েও গুটি ঝরা রোধ করা যাচ্ছে না।রাজশাহী কৃষি অঞ্চলের তিন জেলা রাজশাহী, চ-পাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায় চলতি মৌসুমে ৯৮ হাজার ২৫৭ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে।এছাড়া নাটোর পাবনা, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ ওবগুড়া জেলায় আরো ৫ হাজার ৪৭৮ হেক্টর জমি আম চাষের আওতায় এসেছে। সবচেয়ে বেশি ৩৮ হাজার ৬০৮ হেক্টর আমবাগান রয়েছে চ-পাইনবাবগঞ্জ জেলায়। রাজশাহী অঞ্চলের এই পরিমাণ বাগান থেকে চলতি মৌসুমে সাড়ে ১১ লাখ টন আম উৎপন্ন হবে বলে কৃষি বিভাগের আশা। এই পরিমাণ আমের বাজারমূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।এবিষয়ে রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় আমের গুটি ঝরে পড়ছে। এ কারণে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বাগান মালিক ও চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে গুটি টিকিয়ে রাখতে।এবিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম জানান, গত ২২ মার্চ থেকে রাজশাহী অঞ্চলে বয়ে চলেছে মৃদু তাপ-প্রবাহ। গড় তাপমাত্রা ২৮-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে সেটাকে স্বাভাবিক ধরা হয়। ৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। একইভাবে ৩৮-৪০ ডিগ্রিকে মাঝারি ও ৪০-৪২ ডিগ্রিকে তীব্র তাপদাহ এবং ৪২ এর উপরে গেলে সেটাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলে। গত২৮ মার্চ রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত ১ এপ্রিল রাজশাহী অঞ্চলের ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। সবশেষ গত ৫ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও গত ৬ এপ্রিল ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।কয়েকদিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে তাপপ্রবাহ আরও তীব্র হবে। সেক্ষেত্রে গড় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি অতিক্রম করতে পারে।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    চট্টগ্রামে বাঁশখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা: সভাপতি রানা, সম্পাদক রাসেল
    রাঙ্গুনিয়া আলমশাহপাড়া কামিল মাদরাসা মাদরাসা অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলন ও পুনর্মিলনী ১৯ এপ্রিল
    ৬৬ দফা সংস্কার প্রস্তাবের ১৬টি নিয়ে মতানৈক্য বিএনপির: সালাহউদ্দিন আহমেদ
    নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কারসহ তিন শর্ত পূরণের দাবি জামায়াত আমিরের
    টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস
    তাহিরপুরের গড়কাটিতে ম’র্মা’ন্তি’ক দু’র্ঘ’ট’না ট্রলি ড্রাইভারের প্রা’ণ’হা’নি
    উন্নয়ন-বঞ্চিত তিস্তা পাড়ের লালমনিরহাটে চীনের প্রস্তাবিত ১ হাজার শয্যার হাসপাতাল স্থাপন সময়ের দাবি
    রাবি সেন্ট্রাল অ্যালামনাইতে স্থায়ী সদস্য সাংবাদিক রাজু মোস্তাফিজ

    You cannot copy content of this page