মিজানুর রহমান বিশেষ প্রতিনিধি ফরিদপুর >>> ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় দুইটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া উভয় পক্ষের ১০ দোকান পাট ভাঙচুর ও লুটপাটর করার খবর পাওয়া গেছে। (৯ এপ্রিল) বুধবার রাত আটটার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়া বাজারে স্থানীয় জাহিদ মাতুব্বর ও নুরু মাতুব্বরের পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার নুরু মাতব্বর ও জাহিদ মাতুব্বর গ্রুপের মধ্যে পূর্ব বিরোধ চলছিল। বর্তমানে নুরু মাতুব্বর বিরোধকে কেন্দ্র করে একটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থাকায় দুই পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার ভাই উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনসুর মাতব্বর। এই বিরোধের জেরেই এই দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র ঢাল-সড়কি,ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে নুরু মাতব্বরের সমার্থক নান্নু মাতুব্বরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালা ভেঙ্গে লুটপাট করে নেয় প্রতিপক্ষ। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। পরে রাত দশটার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন।এ বিষয়ে জাহিদ মাতব্বরের সাথে কথা হলে তিনি নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে বলেন, ২০১৮ সালের শামা ওবায়েদ রিঙ্কু (বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক) আপার গাড়িতে হামলা করে আওয়ামী লীগের দোসররা। তারাই আবার এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে বুধবার বিকালে আমার সমর্থক, বাজারের ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী মামুন শেখকে (৩৫) মারধর করে। এরপরই মারামারি শুরু হয়। এই মারামারিতে আমার পক্ষে প্রায় ২০ জনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদিকে মনসুর মাতুব্বর নিজের তার ভাই নুরু মাতুব্বরকে বিএনপি নেতা দাবি করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজনের সাথে আমাদের মারামারি হয়েছে। জাহিদ মাতুব্বর লাবু চৌধুরীর (সাবেক আওয়ামী লীগ এমপির) লোক। বিগত দিনে ওদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ ছিলাম। আজ বিকেলে বালিয়া গ্রামের আমাদের পক্ষের সবুর খানকে প্রথমে মারধর করে ওরা। এছাড়া তার পক্ষের অনেকের আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনিটি । (০৯ এপ্রিল) বুধবার রাত ১০টার দিকে সালথা থানার ভরাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আতাউর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতায় দুপক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আমরা এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছি।
মন্তব্য