সংগ্রহীত ছবি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় দেশটির সামরিক বাহিনীর ১১ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল এবং একজন মেজর রয়েছেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
হামলার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গিগোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) বা পাকিস্তানি তালেবান। পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, প্রথমে রাস্তার পাশে স্থাপন করা বোমা সেনা কনভয়ের ওপর হামলা চালায়। এর পর বিপুল সংখ্যক সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে বন্দুক হামলা চালায়। পাঁচজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, এই ঘটনা ঘটেছে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কুররাম জেলায়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহত সেনারা পার্শ্ববর্তী ওরাকজাই সংলগ্ন জেলায় একটি অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। ওই অভিযানে ১৯ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। তবে পাকিস্তানি তালেবান দাবি করেছে, তাদের যোদ্ধারাই সরাসরি কনভয়ে হামলা চালিয়েছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষত নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার সংখ্যা বেড়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান দেশটির সরকার উৎখাত করে কঠোর ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এই লক্ষ্যেই তারা পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা বাড়াচ্ছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর আফগান সীমান্ত বরাবর পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের হার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্তের অপরাধ ও সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠীর সংযোগ ও তাদের পরিকল্পিত অভিযানগুলো দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।











মন্তব্য