২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ |
শিরোনাম:
পুলিশের জালে দুই গরু চোর সহ পিকআপ। রাজশাহীর পদ্মায় ‘বিলুপ্ত’ কুমির! আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবসে তানোরে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা গোদাগাড়ীতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল আহমেদ দূষণ কমানোয় বিশ্বসেরা রাজশাহী এখন দূষণে শীর্ষে পবার বিউটি হত্যা মামলায় মিলল এক আসামির স্বীকারোক্তি চারঘাটে ডোবা থেকে অজ্ঞাত যুবকের লা’শ উদ্ধার চারঘাটে বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন গোদাগাড়ীতে সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ৪৪ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ কোম্পানীগঞ্জে অসহায় ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের পাশে মধ্যপূর্ব চরহাজারী যুব সংঘ
  • প্রচ্ছদ
  • অন্যান্য
  • পবার বিউটি হত্যা মামলায় মিলল এক আসামির স্বীকারোক্তি
  • পবার বিউটি হত্যা মামলায় মিলল এক আসামির স্বীকারোক্তি

      বাংলাদেশ সংবাদ প্রতিদিন

    সোহেল রানা,প্রতিনিধি >>> রাজশাহীর পবা থানার আলোচিত বিউটি বেগম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির মধ্যে একজন আসামি মো. তারা মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- মো: তারা মিয়া (৩৩), মো: ফারুক হোসেন (৩০) এবং মো: হেলাল উদ্দিন (২৩)। তারা মিয়া রাজশাহী মহানগরীর পবা থানার বাগসারা গ্রামের মো: আব্দুল বারেকের ছেলে এবং ফারুক পবা থানার মহানন্দাখালী মো: ইছুল মণ্ডলের ছেলে এবং হেলাল একই এলাকার মৃত এন্তাজ আলীর ছেলে।আরএমপি’র পবা থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশের তৎপরতায় মাত্র ৭২ ঘন্টার ব্যবধানে হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন সম্ভব হয়। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শারিফুর রায়হান আসামিদের শনাক্ত করেন এবং তাদের গ্রেপ্তারে ডিবি পুলিশের সহযোগিতা চান। পরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটে বোয়ালিয়া থানাধীন সোনাদিঘীর মোড় এলাকা থেকে প্রথমে আসামি তারা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে ধারাবাহিক অভিযানে পবা থানার মহানন্দাখালী এলাকা থেকে ফারুক হোসেন এবং পিল্লাপাড়া এলাকা থেকে হেলাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারের পর আসামিদের আদালতে হাজির করা হলে আসামি তারা মিয়া বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দিতে সে হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে এবং গ্রেপ্তারকৃত অন্য দুই আসামিও এ ঘটনায় জড়িত বলে জানায়।জবানবন্দিতে তারা মিয়া জানায়, নিহত বিউটি বেগম টাকার বিনিময়ে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন। ৫ হাজার টাকা বিনিময়ে অসামাজিক কাজের জন্য বিউটি বেগমের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়। কিন্তু পরবর্তীতে আসামিরা টাকা পরিশোধ না করে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে এবং মরদেহ ধানের জমিতে ফেলে রেখে যায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা অপর দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনি বিজ্ঞ আদালতে রিমান্ডের আবেদন করবেন।উল্লেখ্য, নিহতের ছেলে মো. মিলন প্রাং (২৫) পবা থানায় দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ করেন যে, তাঁর মা বিউটি বেগম প্রায় ১৫ বছর আগে পারিবারিক কলহের কারণে তার বাবার সঙ্গে আলাদা হয়ে রাজশাহীর আলাইবিদিরপুর গ্রামে ভাড়া থাকতেন এবং স্থানীয় একটি হোটেলে কাজ করতেন। দুই বছর আগে তিনি গাইবান্ধার মো. রাশেদ নামের এক ব্যক্তিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।গত ১৮ অক্টোবর সকালে নিহতের দ্বিতীয় স্বামী রাশেদ ফোনে মিলনকে জানান যে, বিউটি বেগমের ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পরে মিলন মায়ের ভাড়া বাসায় গিয়ে ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পান। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানতে পারেন যে, কয়েকদিন ধরে ঘরটি বন্ধ রয়েছে। পরে খবর পান যে পবা থানার বাগসারা এলাকায় অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার হয়েছে। নিহতের কোমরে থাকা চাবি দিয়ে তালা খুলে মিলন নিশ্চিত হন যে লাশটি তাঁর মায়েরই।

    মন্তব্য

    আরও পড়ুন

    You cannot copy content of this page