নিজস্ব প্রতিবেদক
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের যাতায়াতের ভাতার টাকা নিয়ে নয়-ছয় করার অভিযোগ উঠেছে। ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আগে সকল কর্মকর্তাদের যাতায়াতের টাকা বাদ দিয়ে সম্মানির টাকা দেয়া হয়।ভোট গ্রহণ শেষে অনেকেই যাতায়াতের টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিজাইডিং অফিসারগণ বলেন আমাদেরকে যাতায়াতের টাকা দেয়া হয় নাই। নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়, নাগেশ্বরী উপজেলায় ১শত ২৭ টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ২হাজার ৩শত ৩০জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।জন প্রতি ১হাজার টাকা হিসাব অনুযায়ী প্রায় ২৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নয়-ছয় করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন। ইতমধ্যেই অফিসে ভোটের ফলাফল জমা দিয়ে অনেকেই চলে যায়।পরবর্তীতে টাকা দেয়ার সংবাদ পেয়ে কর্মকর্তাগণ পূনঃরায় অফিসে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, বিল ভাউচার করে দিয়ে টাকা গ্রহণ করেন। এখানেই শেষ নয়, জনপ্রতি যাতায়াত বাবদ ১হাজার টাকার ১শত ৪০ টাকা কর্তন করে ৮শত ৬০ টাকা প্রদান করেন। টাকা নেয়ার সময় প্রিজাইডিং কর্মকর্তাগণ ব্যাপক হয়রানির স্বীকার হয়।এতে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। জানা গেছে যাতায়াতের এক হাজার টাকার এক শত ৪০ টাকা অফিস কর্তন করে। ভোটোর তিন দিন পরে আবার ১শত ৩০ টাকা ফেরত দেয়।শুধু তাই নয়, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব না পাওয়া হাফিজুর রহমানসহ অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ভোটের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত লোকদের বাদ দিয়ে অবৈধভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে নতুন নতুন লোকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে।এছাড়াও দায়িত্ব পালন করার পরেও অনেককেই প্রশিক্ষনের টাকা দেয়া হয়নি। ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উজ্জল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন ইতিপূর্বের নির্বাচনে কর্মকর্তাগণ সঠিক ভাবে মালামাল পৌছে না দেয়ার কারনে যাতায়াতের টাকা পরে দেয়া হয়েছে।১শত ৪০টাকা কর্তনের বিষয়ে বলেন, এটা হিসাব রক্ষণ অফিস ভ্যাট ট্যাক্স হিসেবে কেটে নিয়েছিল, পরবর্তিতে ১০টাকা কর্তন করে বাকি টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। কিন্ত বেশী দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাগন টাকা ফেরত পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।











মন্তব্য