সোহেল রানা,তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি >>> থানায় জমির মালিকানা প্রমাণ করতে গিয়ে উল্টো ১১টি ধারায় মামলা খেলেন রাজশাহীর জেলার এক বাসিন্দা । তার নাম জহুরুল ইসলাম জহির। তিনি সেখানার রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে থাকেন। তাকে নিয়ে দেশের স্বানামধন্য একটি টিভি চ্যানেল মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে। সেই সংবাদের ওপর ভিত্তি করে সেখানকার এক পুলিশ কর্মকর্তা জহির কে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দেন। দেহ তল্লাশির নামে তার স্ত্রীর কাছ থেকে এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা কেড়ে নেন। রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ভূক্তভোগী জহির।ঘটনার সূত্রপাত তানোর উপজেলার শিমুল পুকুর এলাকার এক জমিকে কেন্দ্র করে। ব্যক্তি মালিকানার ওই সম্পত্তিকে খাস ও ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর লোকদের দেখিয়ে যমুনা টিভির সাংবাদিক তারেক মাহমুদ ওরফে তারেকুজ্জামান একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন।সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এস আই নাজমুল জহিরকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে থানায় ডেকে পাঠায়। জহির তার স্ত্রীকে নিয়ে থানায় যান। কৌশলে নাজমুল জহিরকে থানায় আটকে রেখে দেয়। পরেরদিন জহির কে আদালতে চালান দিলে তিনি জানতে পারেন তার নামে মোছা বকুল খাতুন বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা করেছেন।এদিকে থানায় প্রবেশের সময় জহিরের স্ত্রীর কাছ থেকে এক লক্ষ সত্তর হাজার টাকা এস আই নাজমুল কৌশলে হাতিয়ে নেন। পরে সেই টাকা জহির নাজমুলের কাছে চাইলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করেন।এভাবে হয়রানির শিকার হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসন ও আদালতের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থণা করেছেন ভূক্তভোগী জহুরুল ইসলাম জহির।তিনি যমুনা টিভিকে জমি নিয়ে সত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করার দাবি জানান। তিনি বলেন, যে দুই নারীকে যমুন টিভি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর দাবি করেছেন তারা ধর্মীয়ভাবে মুসলিম। তাদের ছবি সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করেন তিনি।জহির চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, যদি কেউ এই দুই নারীকে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠির প্রমাণ করতে পারেন কিংবা তাদের কোনো জমি তানোর থানায় ছিল তবে তাকে নগদ এক লক্ষ টাকা পুরস্কার দেব।তিনি যমুনা টিভিকে জমি নিয়ে সত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করার অনুরোধ জানান। আর এসআই নাজমুল ও জমির অবৈধ দখলদার বকুল খাতুন ও রোজিফারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন।
মন্তব্য